আজ বুধবার, ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সেতুর ফেরিওয়ালা !

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: কেউ আলোর ফেরিওয়ালা। কেউ গাছের ফেরিওয়ালা। কেউবা আবার বইয়ের ফেরিওয়ালার। এদের নিয়ে রয়েছে অসংখ্য গল্প। কিন্তু সেতুর ফেরিওয়ালার গল্প যেনো অনেকটা অবিশ্বাস্য। একটি সেতু নির্মাণের তাগিদে গত ১৬ বছর ধরে স্বপ্ন ফেরি করে আসছেন একজন মানুষ। সেতু নির্মাণের দাবীতে ব্যক্তি উদ্যোগে লাখ টাকা খরচ করে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। সেতু নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার কারণে এলাকাবাসী তাকে ‘সেতুর ফেরিওয়ালা’ বলে ডাকে। সেতুর ফেরিওয়ালা হিসাবে পরিচিত কামাল আহম্মেদ রঞ্জুর স্বপ্ন পূরণের পথে। অবশেষে রামপুরা-কায়েতপাড়া সড়কের বালু নদের উপড় স্বপ্নের সেই সেতুর নির্মাণ কাজ দৃশ্যমানের পথে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামপুরা-কায়েতপাড়া সড়কের বালু নদের উপড় সেতুর নির্মাণ কাজ ২০০৩ সালে শুরু হয়। পরে দুটি স্প্যান নির্মাণ শেষ করে ঠিকাদার পালিয়ে যায়। এরপর থেকে সেতুটির কাজের অগ্রগতি হয়নি। যেদিন থেকে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায় এরপর থেকেই কামাল আহম্মেদের আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়। গত ১৬ বছর ধরে ব্যানার-ফেস্টুন, লিফলেট করে সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছেন তিনি। ব্যক্তি উদ্যোগে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে মানববন্ধ, সড়ক অবরোধ, বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। অবশেষে স্বপ্নের সেই সেতুর ভাগ্য খুলেছে। সেতুর নির্মাণ কাজ এখন দৃশ্যমান। স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান মিয়া বলেন, ওনি সবকিছু ফেলে দিয়ে এ সেতুটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন কিভাবে এগুনো যায়। বছরে কয়েকবার মানবন্ধন, মিছিল, অবরোধ করেছেন। লিফলেট বানিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরে মানুষের মাঝে বিলি করেছেন। সেতুর ফেরিওয়ালা কামাল আহম্মেদ রঞ্জু বলেন, যেদিন থেকে সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, সেদিন থেকেই প্রতিজ্ঞা করেছি যতোদিন সেতু হবেনা, ততোদিন আমার সংগ্রাম চলবে। তবে এক্ষেত্রে আমার আদর্শ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতিক} ভূমিকা সবচেয়ে

বেশি। আমি যতোবার স্যারের কাছে গিয়েছি স্যার আশ্বাস দিয়েছে। বলেছেন এ সেতু করে দিবেন। তিনি সেতু মন্ত্রণালয়েও দৌড়ঝাঁপ করেছেন। গাজী স্যারের প্রচেষ্টায় সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।