আজ শনিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে নূর হোসেনের দুই সহোদরের শেল্টারে জমি দখল, ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার-২

সিদ্ধিরগঞ্জে নূর হোসেনের

সিদ্ধিরগঞ্জে নূর হোসেনের

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের দুই সহোদরের শেল্টারে জমি দখলের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকায় ২৫ বছর ধরে ভোগ দখলে থাকা জমি জবর দখলে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে নূর হোসেনের দুই সহোদর নূর ছালাম ও নুরুজ্জামান ওরফে জজ মিয়ার বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর শুক্রবার (১১ মে) রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই ভূমিদস্যু আলাউদ্দিন মোল্লা (৩৮) ও মোসলে উদ্দিন মোল্লাকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে। এদিকে ওই দুই ভূমিদস্যুকে গ্রেফতার করার পরে বাদিকে হুমকী দেয়ার অভিযোগ রয়েছে নূর হোসেনের ভাতিজা নাসিক কাউন্সিলল শাহ জালাল বাদলের বিরুদ্ধে।

আদালতে দায়ের করা পিটিশন মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকায় ২৫ বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন আব্দুস সাত্তার মোল্লা। ১১ শতাংশ জমি পৈত্রিক ও খরিদ সূত্রে তারা মালিক। এই জমির কাগজপত্র সোনালী ব্যাংক এ মর্গেজ রেখে ৬ লাখ ঋণ নিয়েছেন। গত মাসের ২০ এপ্রিল সকালে তার ওই জমিতে সেমিপাকা টিনসেড বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করলে সাতখুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের দুই ভাই নূর ছালাম ও নূরুজ্জামান ওরফে জজ মিয়ার নেতৃত্বে ও তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আসামী আব্দুল জলিল মোল্লা, আলাউদ্দিন মোল্লা, মোসলে উদ্দিন মোল্লা, আব্দুস ছালাম মোল্লা, ইব্রাহিম মিয়া, মিনহাজ ও লিটন ওই জমির মালিকানা দাবি করে কাজ বন্ধ রাখার চাপ প্রয়োগ করে। এসময় আব্দুস সাত্তার মোল্লা জমির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে আসামীরা কাগজপত্র দেখা ব্যর্থ হয়। পরে বাদির নিয়োজিত শ্রমিকরা নির্মাণ কাজ অব্যহত রাখতে চাইলে বাদির নিকট বিচার সালিশে করবে এ জন্য হাত খরচের জন্য নূর হোসেনের দুই ভাই নূর ছালাম ওরফে বোবা ডাকাত ও নূরুজ্জামান জজ ওরফে ছোট মিয়া ২ লাখ টাকা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এসময় ওই দাবিকৃত ২ লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার জমির মালিক আব্দুস সাত্তার মোল্লাকে এলোপাথারী চর, থাপ্পর, কিল, ঘুষি মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে এবং তার সঙ্গে থাকা ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি আইফোন ও মালামাল ক্রয় বাবদ তার সঙ্গে থাকা নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এসময় বাদির ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও শ্রমিকগণ এগিয়ে আসলে ২ লাখ টাকা চাঁদা প্রদানের হুমকী দিয়ে আসামীরা চলে যায়। এ বিষয়ে ২১ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকায় বাদী আদালতের আশ্রয় নিয়ে ওই পিটিশন মামলাটি (নং-২০৭) দায়ের করলে ৩০ এপ্রিল বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর এর আদালতে শুনানী শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে মামলা নেয়া হয়েছে। রাতেই দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যায় ভাবে কেউ কোন জমি দখল করতে গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করলে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।##

সর্বশেষ সংবাদ