সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীতে একটি অবৈধ অটোরিক্সার গ্যারেজ ও একটি বাড়িতে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে পৃথক এ দু’টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের ওই অবৈধ গ্যারেজে ভয়াবহ আগুনে ৪০টি অটোরিকশা ও ৩টি ইজিবাইকসহ গ্যারেজটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে লাগানো বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। একই রাতে নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় একটি বাড়ীতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে ১১টি কক্ষ। ক্ষতি হয়েছে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার মালামাল। ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় বর্ণমালা কিন্ডার গার্টেন স্কুল সংলগ্ন মোঃ স্বপন ও জুয়েল মাষ্টারের মালিকানাধিন ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের গ্যারেছে সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় আগুন লাগে। সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে গ্যারেজটিতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে অটোরিকশা ও ইজিবাইকের ব্যাটারী চার্জ দেওয়া হয়। অবৈধ ভাবে লাগানো বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে আদমজী ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় পৌনে ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। কিন্তু তার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় গ্যারেজে থাকা ৪০টি আটোরিকশা ও ৩টি ইজিবাইক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘনবসতি আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে একই জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ৫টি গ্যারেজ। এসব গ্যারেজে প্রতিরাতেই মাদক সেবনের আসর বসে। এখানে মৃত ওয়াহাব খার ছেলে সুমন খানের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে ৫টি গ্যারেজ গড়ে তুলা হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ গ্যারেজটির মালিক স্বপন ও জুয়েল মাষ্টার। একই সাথে মোফাজ্জল, মান্নান, কাঞ্চন ও সুলতানের একটি করে গ্যারেজ রয়েছে। যথাসময়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ায় অন্য ৪ টি গ্যারেজ ও আশপাশের ঘর-বাড়ী রক্ষা পেয়েছে। অন্যদিকে নয়াআটি মুক্তিনগর হকসুপার মার্কেট সংলগ্ন মোঃ নূর মোহাম্মদ ও মনিরের বাড়ীতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। আগুনে দু,টি বাড়ীর ১১ টি কক্ষ পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন বাড়ীর মলিকরা।