নবকুমার: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা (রূপগঞ্জের সন্তান) গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেছেন, আমাদের প্রাণ প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৭৩ বছরের একটা যুবক। আমি যুবক কেনো বলছি। কারণ আমাদের এই সংগঠনটায় দুটা জিনিস মানতে হয়। একটি হচ্ছে বয়স। অপরটি ছাত্র হতে হবে। এই সংগঠনটার শেষ আছে। আমরা চাইলেও কেউ সারাজীবন ছাত্রলীগ করতে পারব না।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের জন্ম মানে একটা ইতিহাসের জন্ম। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের আগে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি জানতেন বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে হলে আমাদের ছাত্রদের দরকার। এই ছাত্রলীগের মাধ্যমে হাজার হাজার নেতা তৈরী হয়েছে। যারা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের উজ্জল নক্ষত্র। তাদের সামনে আমি বক্তব্য দেওয়ার যোগ্যতা রাখি না। তারপরও তারা পাঠায়ছে সেজন্য কিছু কথা বলতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের জন্মদিনে আমি চেয়েছিলাম যাদের পরিশ্রমে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদেরকে একটু সম্মান জানাতে । সবাইকে একত্রিত করতে। কাউকে পেয়েছি কাউকে হয়ত পাই নাই। তবে অধিকাংশ রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এসেছে। যারা এসেছেন তারা বিএনপির জামায়াতের শাসন আমলে মাইর খেয়েছে, জেল খেটেছে । এগুলো অজিনাল ছাত্রলীগ । উনাদের আমি সম্মান দেওয়ার জন্য এসেছি। স্যলুট জানানোর জন্য এসেছি। তাদের পরিশ্রমে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ শক্তিশালী হয়েছে। তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিবসহ প্রয়াত নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
মন্ত্রীপুত্র বলেন, এখন পদের জন্য, তদবিরের জন্য লোকের অভাব নাই। মেহের ভাই বলছিলো বিএনপির সময় একটা তৃতীয় যে পদ দেবো সেই লোকটা খুজে পাওয়া যায়নি। কারণ তখন পদ মানেই জেল খানা, পদ মানেই মাইর খাওয়া।
গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেন, মাঝে মাঝে দেখি বেগম খালেদা জিয়ার দল যারা রাজাকারের প্রতিপালক দল। ছোট্ট ছোট্ট চিপায় চিপায় মিছিল করে। আমি আপনাদেরকে বলি আমরা স্বাধীনতার দল , মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। এটা মুজিব বর্ষ। আপনারা চুরিচামারি কইরেন না। সাহস থাকলে সামনে আসেন। আপনারা যদি মনে করেন আমরা ছাত্রলীগ ঘুমিয়ে আছি। তাহলে একটু দয়া করে একটি কাবাব ফেক্টরিতে যাবেন , দেখবেন কয়লার মধ্যে কিভাবে গ্রিল হয়। কয়লা কিন্তু দেখতে কালো । ওই কয়লাকে ফু দেওয়ার সাহস করেন দেখবেন জ্বলন্ত আগুন। আমরা ছাত্রলীগ ঠিক ওই কয়লার মতো। নিরব থাকি বলে দুর্বল ভাববেন না।
তিনি বলেন, আমাদের রূপগঞ্জ উপজেলা এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগ যতদিন ভালো থাকবে আমাদের এই রূপগঞ্জে কেউ কোনোদিন ষড়যন্ত্র করে টিকে থাকতে পারবে না।
সোমবার ( ৪ জানুয়ারি) সকালে মুড়াপাড়ায় ছাত্রলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ শাখা ছাত্র সংসদ।
পাপ্পা গাজী বলেন ,করোনাকালে ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষের পাশে ছিলো এবং আছে। আগামী বছর আমরা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় অনুষ্ঠান করব।
অনুষ্ঠানে সরকারী মুড়াপাড়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবু সুকুমার দাসের সভাপতিত্বে এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, রূপগঞ্জ উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি তাবিবুল কাদির তমাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ভুঁইয়া, সহ-সভাপতি জনি, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাবেক ভিপি মনি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ সোহেল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদার, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভুঁইয়া মাছুম, সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ শাখা ছাত্র সংসদের ভিপি তুহিন, জিএস সজিবসহ ছাত্র সংসদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।