আজ শনিবার, ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সালমানের সাথে মৌসুমীর সম্পর্কের অজানা তথ্য ফাঁস

সালমানের সাথে মৌসুমীর

 

সালমানের সাথে মৌসুমীর

সংবাদচর্চা ডটকম:

বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ  মুক্তি পায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি। সোহানুর রহমান সোহানের এই ছবির মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষেরা পেয়েছিল দুটি নতুন মুখ—মৌসুমী ও সালমান শাহ। প্রথম ছবিতেই তাঁরা বাজিমাত করেন—অভিনয় দিয়ে মানুষের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নেন।  মৌসুমী ফ্যান ক্লাব গত রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় ম্যারি মন্টানা রেস্তোরাঁয় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। সেখানে এক  সাক্ষাৎকারে মৌসুমী বলেছেন এই ছবি নিয়ে অনেক অজানা গল্প। বলেছেন পরিবার, স্বামী আর চলচ্চিত্রের আরও অনেক বিষয় নিয়ে।

 

সালমানের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল?
আমরা তখন খুলনায় থাকতাম। ছোটবেলায় ইমন (সালমান শাহ ডাকনাম) আর আমি প্লে-গ্রুপ ও নার্সারিতে একসঙ্গে পড়েছি। বাবার চাকরির কারণে ইমনের পরিবার খুলনা সার্কিট হাউসে থাকত। ওই স্কুলে আমার ফুফু ছিলেন টিচার। ফুফুর ছুটি হওয়া পর্যন্ত ইমনদের বাসায় আড্ডা দিতাম। সেও আমাদের বাসায় যাওয়া-আসা করত। ভালো বন্ধুত্ব হয়। এরপর হঠাৎ ওরা ঢাকায় চলে আসে।

ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয়। ব্যাপারটি কেমন ছিল?
বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর দেখা হওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা থাকে, তা ছবিটি করতে গিয়ে নতুন করে টের পাই। ছবির কাজ করার সময় আমাদের দেখা হয়। আবেগাপ্লুত হলাম। অল্প কদিনেই আমাদের সম্পর্ক আবার আগের রূপ নেয়। নিজেদের সবকিছুই একজন আরেকজনের সঙ্গে শেয়ার করতাম। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে তো পরিচালক সোহান ভাই একপর্যায়ে ভুল বুঝতে শুরু করলেন। তিনি ভাবলেন, আমরা এক জোট হয়ে গেছি।

আপনাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল?
আমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তবে সালমান আর আমার সম্পর্ক গভীর ছিল। অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আমরা শেয়ার করতাম, যা কাউকে বলতে পারতাম না। আমার জ্বর হলে ওর ভালো লাগত না, ওর কোনো অসুখ হলে আমার না। আমাদের আত্মার একটা টান ছিল। দেখা গেল, জ্বরের কারণে আমি শুটিংয়ে যেতে পারিনি, পরিচালকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেখা করতে চলে আসত। ওর কোনো ভালো হলে আমার ভালো লাগত, ওর খারাপ হলে আমার খারাপ লাগত। এমনই ছিল আমাদের অনুভূতি।

সালমানের পর আরও অনেকের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। কাকে সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য মনে করেছেন?
একজনকে মনে হয়েছে, যাকে শেষ পর্যন্ত আমার জীবনসঙ্গী করেছি। একজন পুরুষ হিসেবে আজ পর্যন্ত তাঁর মধ্যে কোনো ঝামেলা পাইনি। আমার বন্ধু, সহকর্মী আর জুনিয়রদের মধ্যে অনেকে যারা এখনো বিয়ে করেনি, তারা যখন বলে, সানি ভাইয়ের মতো ছেলে পেলে বিয়ে করে ফেলব। এটা শুনলে আমার কান্না চলে আসে।

স্বামী ও চিত্রনায়ক ওমর সানি ছাড়া কে সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য?
আমার স্বামী ছাড়া যদি একজনের কথা বলি, তিনি মান্না ভাই। শুধু সহশিল্পী নন, একজন ভালো পরামর্শক ছিলেন।

জীবনে অনেক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অনেক সংবাদকর্মীর মুখোমুখি হয়েছেন। সামনে কখনো সাংবাদিকতা করার ইচ্ছে আছে?
পত্রিকা নিয়ে বরাবরই আমার একটা আগ্রহ আছে। অনলাইনে এখন বেশি আগ্রহী। ভেবেছি, আমার পরবর্তী ক্যারিয়ার কী হতে পারে, খুব ভালোবাসার একটা জায়গা জুড়ে আছে সাংবাদিকতা। রাজনীতিতে তেমন আগ্রহ পাই না। ভেবেছি সাংবাদিকতা নিয়ে কিছু করব।