নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিদ্ধিরগঞ্জ সানারপাড় এলাকার রহিম মার্কেটে অনুমোদনবিহীনভাবে পরিচালিত হেলথ কেয়ার আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে মো. তানভীর আহমেদ সরকার (৩৪) নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।গ্রেফতারকৃত ভূয়া ডাক্তারকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও তার বিভিন্ন অপকর্মে সহযোগীতার দায়ে হাসপাতালটির ম্যানেজার আবুল বাশারকে (৩৮) এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে হাসপাতালটিকে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার রাতে র্যাব হেডকোয়ার্টারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টার মত অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ উদ্ধার করা হয়।হাসপাতালটিতে রিজার্ভের ইনজেকশন একবার ব্যবহার করার পর পেঁচিয়ে ফ্রিজে রেখে পুনরায় ব্যবহার করা হতো। যার ফলে মানবদেহে মারাত্বক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এসময় গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডাক্তার মোঃ তানভীর আহমেদ সরকার (৩৪)কে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়। সে দীর্ঘদিন নিজেকে একজন বড় মাপের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে এই হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে নিয়মিত রোগী দেখে আসছে। সনোলজিষ্ট এবং বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগীর প্রেসক্রিপসনে ভিন্ন ভিন্ন নামে সে নিজেই স্বাক্ষর করত। এমনকি ভর্তি হওয়া রোগীদের ফাইলে প্রেসক্রিপশনে সে নিজেই ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষর করত। তার এ সকল কাজে হাসপাতালের ম্যানেজার আবুল বাশার নিয়মিত সহায়তা করত।
এছাড়াও বিভিন্ন ডাক্তারের নাম ঐ ডাক্তারদের অজান্তে ব্যবহার করে আসছে। র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার কাছে সনদ দেখতে চাইলে তারা কোন সনদ দেখাতে পারে নি। এভাবে রোগীদের সাথে সেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছিল।এই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সরোয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ভুয়া ডাক্তার মোঃ তানভীর আহমেদ সরকার (৩৪)কে ০২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং হাসপাতালের ম্যানেজার আবুল বাশার (৩২)কে ০১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
হাসপাতাল পরিচালনায় সরকারী নিয়মের বরখেলাপ হওয়ায় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে “”হেলথ কেয়ার আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার”কে সিলগালা করে দেয়া হয়।