দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সফিকুল ইসলাম, যুবনেতা লিয়াকত হোসেন খোকা এমপিসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
সাদ এরশাদ বলেন, বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। দল যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে রংপুর তথা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি রাজনীতির বাইরে কখনই ছিলাম না। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি দেখে এসেছি। আমি রাজনীতির সাফারারও ছোটবেলাতেই হয়েছি। ৫ বছর বয়সে কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজত খেটেছি। সম্ভবত এত কম বয়সে আর কোনো রাজনীতিবিদককে করাগারে যেতে হয়নি।
রংপুরে সাদ এরশাদের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, এটাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে সাদ বলেন, বড় দলের মধ্যে অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকতে পারেন। অনেকের পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। এটা বড় সমস্যা নয়। সময়মতো সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার দুপুরে মা রওশন এরশাদের গাড়ি করে বনানী অফিসে আসেন সাদ। গাড়ি থেকে নেমে সোজা দ্বিতীয় তলায় গিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। সেখানে আগে থেকেই অবস্থানকারী মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন সাদ।
এরশাদের মৃত্যূতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী সাদ এরশাদ। পার্টি সূত্র জানিয়েছে, দলীয় মনোনয়ন অনেকটা তার দিকেই ঝুঁকে রয়েছে।
এর আগে এই আসনের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির। ৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন ফরম উত্তোলনকারীদের সাক্ষাৎকার নেবে পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ড।
১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যূতে আসনটি শূন্য ঘোষিত হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর। যাচাই-বাছাই ১১ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৬ সেপ্টেম্বর। এবারও ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করা হবে। রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন নারী ভোটার।