আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাত খুনের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ৫ বছর পূর্তিতে দৈনিক সংবাদচর্চার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল চাষাঢ়ায় দৈনিক সংবাদচর্চার কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, সাত খুন মামলার বাদী পক্ষের প্রধান আইনজীবী এড.সাখাওয়াত হোসেন, নিহত তাজুলের বাবা মোঃ আবুল খায়ের এবং মা তাসলিমা।
এড. সাখাওয়াত বলেন, সাত খুনের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি ও আমার সহকারী আইনজীবীরা মিলে খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দ্রুত কার্যকার করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মামলায় জেলা জজ ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারী মোট ৩৬ জন আসামীকে সাজা প্রদান করেন। এদের মধ্যে ২৫ জনকে ফাঁসি এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। পরবর্তীতে একই বছরের ২২ আগস্ট উচ্চ আদালতে সাজা কমিয়ে ফাসি থেকে ১১ জনকে যাবতজীবন প্রদান করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের এ্যাপিলেড ডিভিশনে বিবাদী পক্ষের রায় বাতিলের শুনানি চলছে। সরকারের সদইচ্ছা এবং মাননীয় এ্যার্টনী জেনারেলের হস্তক্ষেপই পারে চূড়ান্ত রায় প্রকাশ এবং তা কার্যকর করতে। দীর্ঘ পাচঁ বছর অতিবাহীত হয়ে গেলেও নিহতদের স্বজনদের মধ্যে সস্তি নেই। রায় কার্যকর হলেই পরিবারের সদস্যরা এমনকি সারা দেশের মানুষ বুঝবে দেশে আইনের শাসন আছে। আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এই মামলার সাজা প্রাপ্ত ১৩ আসামী এখনো পলাতক আছে । আইন প্রয়োগকারী
সংস্থার উচির তাদের দ্রুত আটক করে আদালতে সোপর্দ করা। পলাতক আসামীদের কারনে ঝুকিতে আছে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
সাখাওয়াত বলেন, দেশে অনেক হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরকার নিহতের পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। কিন্তুু দুঃখের বিষয় আলোচিত সাত খুনের পরিবারের কোন সদস্যকেই তেমন কোন সাহায্য দেয়া হয়নি।
আলোচিত সাত খুনের একজন তাজুল ইসলাম। তার পিতা মোঃ আবুল খায়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বলেন তাজুর পরিবারের বড় সন্তান ছিলো। তার উপার্জনে সংসার চলতো । সন্তান হারানোর পর আমি আমার বাবা এবং মাকে হারাই। আমার পরিবারের সদস্যরা তাজুরকে হারানোর দুঃখ নিয়ে এখনো দিন পার করছি।
তাজুলের মা তাসলিমা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি আজো ভুলি নাই আমার ছেলের সেই মা ডাক। ঘটনার পূর্বে ২৫ এপ্রিল দুপুর শেষ আমাকে ফোন করে তাজুল বলেছিলো মা কেমন আছেন, আজকে কি রান্না করেছেন। নুর হোসেনের ইন্দনে এবং র‌্যাবের কর্মকর্তাদের নির্মম হত্যা কান্ডের কারনে আমি আমার সন্তানের মা ডাক শুনতে পারি না। আর কখনো মা ডাক শুনবো না। এখন দ্রুত এই মামলার রায় কার্যকর হলে আমাদের কিছুটা হলেও শান্তি লাগবে। সরকারের কাছে আমাদের এটাই দাবী। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরেকটা দাবী আমার একটা সন্তানকে যেন চাকরি প্রদান করে। যাতে সংসার চালাতে আমাদের কষ্ট না হয়।