নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ উল্লেখ করে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
লিখিত এ আবেদন শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দুপুর ১২টায় সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের হাতে পৌঁছে দেন মহানগর শাখার নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিক, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কোষাধ্যক্ষ সোলায়মান সরকার ও দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মাস্টার।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বরাবর অভিযোগপত্রটিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পক্ষে স্বাক্ষর করেন সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
অভিযোগপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি দলের সঙ্গে আঁতাত করে আদালতের মাধ্যমে দলীয় কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচি বন্ধ করার এবং দলকে আদালতে আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে থাকার যে নীলনকশা সাখাওয়াত হোসেন খান নিয়েছেন, তাতে দল সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে বাধা পাচ্ছে। এটা মহানগর বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার হীন চক্রান্ত। তাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার স্বার্থে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কার্যকরী কমিটির সভায় গৃহীত অনাস্থা প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে সাখাওয়াত হোসেন খানকে বহিষ্কারের জোর অনুরোধ করছি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি ও কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ শিউলী রানী দাসের আদালতে মহানগরের ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলজার খান ও একই ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক (পৌরসভাকালীন) নূর আলম শিকদার বাদী হয়ে মামলা করলে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে।