আজ শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না’গঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

সাংস্কৃতিক জোটে

সাংস্কৃতিক জোটে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৩৮৮ সালের পহেলা বৈশাখ নারায়নগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের জন্ম। শাপলা, পলাশ, ড্যাফোডিল ও একতা খেলাঘর এই কয়েকটি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে ৩৭ বছর আগে বাংলা নববর্ষের আয়োজনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু। পরে এ যৌথ আয়োজনের সংগঠনসমূহই সাংস্কৃতিক জোটে রুপান্তরিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিকালে প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত জোটের সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল এসব কথা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা রফিউর রাব্বি, নাগরিক কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলসহ প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, বাংলা নববর্ষ হাজার বছরের আবহমান বাঙালির বাঙালি হয়ে ওঠার যাত্রায় গভীর তাৎপর্য বহন করে। সমাজের কলুষ ও সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এটি এক উজ্জ্বল উদাহরন। আজকে দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ উদযাপনের যে সম্মিলিত আয়োজন এটি আমাদের আশ^ানিত করে। আমরা এই ভেবে বুক বাঁধি যে, সমাজে বিরাজমান অন্যায়, অপরাধ, নৈরাজ্য,অশুভ সাম্প্রদায়িকতা এবং প্রশ্নবিদ্ধ গনতন্ত্র ও বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আমাদেও সকল প্রজন্ম যুথবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে; আমরা আমাদেও স্বপ্নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে উপনীত হব।
১৯৮১ সালে যখন সাংস্কৃতিক জোট যাত্রা শুরু করে সে সময় থেকে অর্থনীতি সংস্কৃতিতে কিছু পরিবর্তন হলেও রাজনীতিতে এখনো গুনগত তেমন কোনও পরিবতন ঘটেনি। কিন্তু আমরা জানি পরিবর্তনের নিয়মে সবকিছুর পরিবর্তনই অনিবার্য এবং তা আজ হোক বা কাল হোক। মানুষই এ পরিবর্তনের নির্নায়ক। ‘মানুষের উপর থেকে বিশ^াস হারানো পাপ’ এই অমোঘ সত্য ভর করেই আমাদের পথচলা।
নারায়নগঞ্জ জোটের ৩৭ বছরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও নতুন বছরের শুভ সূচনায় আমরা সে প্রত্যয়ে আরও সংঘবদ্ধ হই। সে লক্ষ্যেই আমাদের সাত দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন। রয়েছে গ্রন্থমেলা, চিত্রকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী , আবহমান মেলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন। পঞেলা বৈশাখ থেকে সাত বৈশাখ ১৪২৫ পর্যন্ত নারায়নগঞ্জে কয়েকটি প্রান্তে এ কর্মসূচি অনুাষ্ঠত হবে। আমাদের আয়োজনে সকলকে স্বাগত জানাই। জানাই নববর্ষ ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা।