আজ শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিকতা বাঁচিয়ে রাখতে অনুসন্ধানমূলক রিপোটিং দরকার- শাহ আলম

অনুসন্ধানমূলক

অনুসন্ধানমূলক

এ্যানি চন্দ্র:
সাংবাদিকতা বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে অনুসন্ধানমূলক রিপোটিং দরকার বলে মন্তব্য করে পিআইবির মহা পরিচালক মো: শাহ আলমগীর বলেন, বড় বড় খুনের ঘটনা পুলিশের আগে সাংবাদিকরা বের করে। সাংবাদিকদের দ্বায়িত্ব হলো অনুসন্ধানী রিপোর্টি করা আর এই জন্য অনুসন্ধানমূলক রিপোটিং প্রশিক্ষন করানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিকালে নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের জন্য তিনদিনের অনুসন্ধানি রিপোর্টিং এর সমাপনি ও সনদ বিতরনকালে এসব কথা কথা বলেন তিনি।
মো: শাহ আলমগীর আরও বলেন, ইদানিং আমাদের দেশে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক দরকার। এটাতো আর একদিনে তৈরি হয় না অনেক শ্রম ও সময় ব্যয় করতে হয়। দেশ ও জাতীর জন্য এটা কাজে লাগবে। অনুসন্ধানী রিপোর্টের মধ্যে টিকে থাকতে পারবে সাংবাদিকরা। সাংবাদিকতা পেশায় একবার পিছিয়ে পড়লে সামনে আগানো অনেক কষ্টকর হবে। সাংবাদিকদের সবকিছু জানতে হয়। সাংবাদিকদের প্রতিদিন শিখতে হয়। দেশের কৃষকের কি অবস্থা কৃষির কি অবস্থা সব খবরই সাংবাদিকরা জানে। তাই তিনি বলেন আমাদের পরবর্তী জেনারেশনে মোবাইল জার্নালিসম প্রয়োজন। তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর একজন সাংবাদিক হতে হবে। সাংবাদিকতা বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে অনুসন্ধানমূলক রিপোটিং দরকার। বড় বড় খুনের ঘটনা পুলিশের আগে সাংবাদিকরা বের করে। সাংবাদিকদের দ্বায়িত্ব হলো অনুসন্ধানী রিপোর্টি করা আর এই জন্য অনুসন্ধানমূলক রিপোটিং প্রশিক্ষন করানো হয়েছে।
বিশেষ অতিথি জসিমউদ্দিন হায়দার বলেন, তিনদিন যাবত প্রশিক্ষনে রাব্বী মিয়ার পক্ষ থেকে আপনাদের অনেক শুভেচ্ছা। দুঃখিত রাব্বী মিয়া জরুরি একটা মিটিংয়ের জন্য আসতে পারেননি। তিনি বলেন আমি কিছুদিন আগেও এসেছিলাম আপনাদের নারী বিষয়ক রিপোটির্ং প্রশিক্ষনে এটা খুব গুরুত্বপূর্ন একটা প্রশিক্ষন ছিল। আর অরেকটি হচ্ছে অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট। তিনি আরোও বলেন, তিনি ও প্রেসক্লাবের সাথে সংযুক্ত থাকতেন এখনও আছেন। এখন দেখা যায় কোন কোন নিউজগুলো প্রথম পেইজে আর বেক পেইজে যাবে এটা তারাই বলে দেন। এটা একটা সাংবাদিকের ভালো কাজ। তারা নিজেরাই এখন এগুলো যাচাই করেন। বড় বড় সাংবাদিকরা তাকে নিউজ পাঠিয়ে ফোন বা মেসেজ দিয়ে বলেন নিউজটা পড়তে। একেকটা সেক্টর থেকে একেকটা মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি অনেক কিছু আবিষ্কার করেছি। তাই তিনি বলেন অনুসন্ধান রিপোর্টিং ও একটি আবিষ্কার।মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করছেন তাদের আরোও বেশি জানার জন্য ট্রেনিং বা ওয়ার্কশপ করলে ভালো হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, অনেক সিনিয়র সাংবাদিক আছেন যারা বিভিন্ন সময় অনুসন্ধানী আর সুযোগসন্ধানী। অনুসন্ধানী করতে গিয়ে আপনারা যাতে সুযোগসন্ধানী না হন সেটা খেয়াল রাখবেন। মহান পেশা, পবিত্র পেশা বাংলাদেশে বড় বড় জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা এখন ভালো বেতন পাচ্ছেন। সুযোসন্ধানী এমনভাবে গ্রাস করছে যা বলার বাইরে। বিভিন্ন পত্রিকা হাউসগুলো এখন সুযোগসন্ধানী হয়ে গেছে। তাই আমরা হতাশ হবো না। আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সাবেক সভাপতি হালিম আজাদ,সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি।