কাদিয়ানীদের ২২, ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইজতেমা সরকার বন্ধ না করলে পঞ্চগড় অভিমূখে লংমার্চসহ আরও কঠিন কর্মসূচির ঘোষণা দিতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বুধবার সকাল ১১টায় দারুল ঊলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসাস্থ হেফাজত আমিরের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহমদ শফী বলেন, কাদিয়ানীরা মুসলিম নয়, তারা কাফের। যারা কাদিয়ানীদের মুসলমান বলবে তারাও বেইমান। তাদের ইমান থাকবে না। সরকারের প্রতি কাদিয়ানীদের ইজতেমা বন্ধ ও সরকারিভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আহমদ শফীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাসপুর জেলার অন্তর্গত কাদিয়ান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ কারণে তাকে কাদিয়ানী এবং অনুসারীদেরকে কাদিয়ানী সম্প্রদায় বলা হয়। তবে তারা নিজেদের ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ নামে পরিচয় দিয়ে থাকে এবং ‘আহমদী’ বলতে ভালোবাসে। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সঙ্গে মুসলিম সমাজের বিরোধ হানাফী-শাফেয়ী বা হানাফী-আহলে হাদীস অথবা সুন্নী-বেদআতীদের মতবিরোধের মত নয়। বরং তাদের সঙ্গে মুসলমানদের বিরোধ এমন কিছু মৌলিক আকীদা নিয়ে, যা বিশ্বাস করা-না করার ওপর মানুষের ঈমান থাকা-না থাকা নির্ভর করে। কাদিয়ানীরা ইসলামধর্মের অনেক মৌলিক আকীদা অস্বীকার করার কারণে নিঃসন্দেহে অমুসলিম ও কাফের। বরং যে ব্যক্তি (তাদের কুফরী বিষয়গুলো জানার পরও) তাদের কাফের মনে করবে না বা এতে সন্দেহ পোষণ করবে, সেও নিঃসন্দেহে কাফের।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত আমির সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের ন্যায় বাংলাদেশেও অনতিবিলম্বে কথিত ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ তথা কাদিয়ানীদের সরকারিভাবে সংখ্যালগু অমুসলিম ঘোষণা করাসহ কাদিয়ানীদের জন্য ইসলামী পরিভাষাসমূহ যেমন: কালিমা, নামায, রোযা, হজ্ব ও মসজিদ ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত ইসলামের যুগ্ন মহাসচিব আল্লামা লোকমান হাকিম, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা নোমান মেখলী, মাওলানা মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী, সদস্য মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাহমুদ হাসান ফতেপুরী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আশ্রাফ আলী নিজামপুরী, নাছির উদ্দিন মুনির, সরওয়ার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।