নবকুমার:
মৃত্যুর সাথে টানা ৮ দিন লড়াই করে গত রাতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সন্ত্রাসীদের পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ মুক্তি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে পাবনা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। তিনি মুক্তির হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের ফাঁসি এবং খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট সাথিয়ার নাগডেমরা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের মেয়ে মুক্তির গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়েছে সাবেক জামায়াত নেতা বর্তমান নাগডেমরা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ জায়েদ আলী ও সালাম সহ তার লোকজন।
আহত মুক্তিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে দেখতে যান সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ,আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ আউয়াল।
মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মুক্তি খাতুন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের দর্শন বিভাগের ছাত্রী । সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলো ।
মুক্তি খাতুনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোজ্জাম্মেল হক বলেন, মামলা করায় বিভিন্নভাবে আসামিরা তাকে হুমকি দিচ্ছে। আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসবে বলে প্রচার করে আসছে। ভয়ে বাড়ি থেকে সাঁথিয়া থানায় পুলিশ প্রহরায় পুলিশের ভ্যানে যাতায়াত করছেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি নাগডেমরা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে সালাম ও কেসমত আলীর ছেলে জাহিদ গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সাথিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মুক্তির উপর হামলায় ৩২ জনের নামে মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ২৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করছে। বাকী আসামী পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।