আজ সোমবার, ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সচেতনতায় জলাবদ্ধতা নিরসন

সংবাদচর্চা অনলাইন:

চলছে বর্ষকাল। গ্রীষ্মের শুরুর দিকে হওয়া বৃষ্টিতে শহর ও এর আশপাশের এলাকায় যে পরিমাণ জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বর্ষাতে তা কি রূপ নিবে তা নিয়ে অনেকেই বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। তাহলে এই মূহুর্তে আমাদের করণীয় কী? সচেতন মহল বলছেন, সচেতনতাই জলাবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র পথ।

জানা গেছে, সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক। কিছুদিন আগেও সে চিত্র সরেজমিনে দেখা গেছে। অথচ উন্নতমানের ড্রেনেজ ও পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে এ সড়কে। তাহলে কেনো জলাবদ্ধতা? এর দায় ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে শিল্পপতি পর্যন্ত সকলের। বিশেষ করে ব্যবহার করার পর রাস্তায় পলিথিন ও বর্জ্য ফেলে রাখা হয়। আর বৃষ্টির পানিতে তা গিয়ে গড়ায় ড্রেনে। এরপর যা হবার তাই। মানুষের সামান্য একটু অসচেতনতার কারণে পুরো সড়ক তলিয়ে যায় পানিতে। যার ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হয় হাজারো মানুষকে।

নগরবাসীর মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) পক্ষ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যপক কাজ করা হয়েছে। উন্নতমানের ড্রেনেজ ও পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়েছে। এখন শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন না ফেললে রাস্তায় পানি জমার কোন সুযোগ নেই। গ্রীষ্মের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় আমারা যে পরিমাণ জলাবদ্ধতা দেখতে পেয়েছে বর্ষাতে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তাই অনতিবিলম্বে আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। অন্যথায় সামনে পানির জন্য সড়কে মানুষের চলাচল করাই দায় হয়ে পরবে।

এদিকে সচেতন মহল বলছেন, যারা অসেচতনভাবে রাস্তা-ঘাটে পলিথিন ও বর্জ্য ফেলে রাখে তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তি দেয়া প্রয়োজন। কতিপয় মানুষের জন্য সারা শহরের মানুষ দূর্ভোগ পোহায়। আর এই মূর্খ মানুষগুলো কখনোই সচেতন হবে না। তাই নগরবাসীকে দূর্ভোগ থেকে বাঁচাতে এসকল মানুষগুলোকে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।