নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় এলাকার আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের জন্য আয়োজন করা সভাগুলোতে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যের সুযোগ হয়নি। ওইসব সভাগুলোতে শুধু নেতারাই বক্তব্য দিয়েছেন, শুনেছেন তৃণমূলের নেতারা। দীর্ঘদিন পরে দলের সংসদ সদস্যকে কাছে পেয়েও মনের কথা বলা হয়নি তাদের। দু’য়েক বলতে চাইলেও তাদের মাঝপথে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে যে লক্ষ্য নিয়ে এ আয়োজন তা ফলদায়ক হয়নি, উল্টো তৃণমূলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ অনেকটা এ রকম-‘দাওয়াত দিয়ে এনে তাদের সামনে প্লেট দিয়ে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে প্লেটে খাবার দেয়া হয়নি। এ অপমান ছাড়া আর কী?’
তৃণমূল নেতাদের আরও দাবি, কিছু কিছু সভায় মধ্যম সারীর নেতাদের বসারও সুযোগ হয়নি। দাঁড়িয়ে থেকেই শুধু নেতাদের বক্তব্য শুনেছেন এক বুক হতাশা নিয়ে।
কয়েকজন তৃণমূলের নেতা জানিয়েছেন, বাংলাভবন কমিউনিটি সেন্টারে এনায়েত নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সভায় গোলাম সারোয়ার নামের এক নেতা বক্তব্যে দলীয় নেতাদের চেয়ে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এমন দাবি করে ক্ষোভের কথা বলতে শুরু করেন, কিন্তু মাঝপথেই তাকে থামিয়ে দেয়া হয়।
সবচেয়ে অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন বক্তাবলীর তৃণমূলের নেতারা। তাদের কারোই বক্তব্য তো দূরের কথা উপস্থিতি স্বীকারেরও সম্মানটুকু মিলেনি। শুধু তাই নয়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে বসতেও দেয়া হয়নি। শুধু তৃণমূলের সভার আয়োজক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান একাই বক্তব্য দিয়েছেন। ফলে সভা নিয়ে নেতাকর্মীদের যে উচ্ছ্বাস ছিলো সভার পর অনেকটাই চুপসে গেছে। সভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে যে চাঙ্গাভাব ছিল, সমাবেশের পর তা হতাশায় পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, ভেবেছিলাম দু’চার কথা বলার সুযোগ হবে। কিন্তু হলো না। অনেককিছু বলার আশা নিয়ে এসেছিলাম। তবে তিনি ক্ষুব্ধ নন জানিয়ে বলেন, সময় মত মুখ খুলব