আজ শনিবার, ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ প্রকাশের পর ভূলতা ফ্লাইওভারে আলো জ্বলছে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

সংবাদ প্রকাশের পর রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ফ্লাইওভারে আলো জ্বলছে। ফ্লাইওভারটি উদ্বোধনের কিছু দিন পর আলো বন্ধ হয়ে যায়।  রাতে অন্ধকারে গাড়ি চলাচল করেছে । এতে আতঙ্কে  ছিলো চালক ও যাত্রীরা। যা প্রথমে নজরে আসে দৈনিক সংবাদচর্চার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার ৮ম পাতায় ৪র্থ লিডে “উদ্বোধনের পরেও অন্ধকার ভুলতা ফ্লাইওভার” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। শনিবার রাতে ভুলতা ফ্লাইওভারে আলো জ্বলে উঠেছে।  এতো দিন রাতে ভূলতা ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচলে আতঙ্ক ছিলো। আলো ও সিসি ক্যামেরা না থাকায় রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে প্রায় সময় । ফ্লাইওভারের ওপর ছিনতাইকারী চক্র গাড়ি পার্ক করে ছিনতাইয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকতো। মাদক সেবন করা নিরাপদ স্থানও এ ফ্লাইওভার ছিলো। সেখানে পড়ে থাকতে দেখা গেছে  ফেনসিডিলের খালি বোতল। ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি না থাকায় কিছু দিন রাতের অন্ধকারে ডুবে ছিলো ৩৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ফ্লাইওভার । এখন যাত্রী এবং চালকদের সেই ভয় দূর হয়েছে।

এব্যাপারে ট্রাক চালক মতিন বলেন, ভাই অনেক দিন পর আলো ফিরে আসায় ছিনতাইকারীদের ভয় কাটিয়ে অনেকটা শান্তি অনুভব করছি। আরো ভালো হতো যদি সিসি ক্যামেরা থাকতো। ফ্লাইওভারে ঘুরতে আসা কয়েকজন পথচারী জানান, ফ্লাইওভারে আলো ফিরে আসায় দেখতে আসলাম। আলো আসায় ফ্লাইওভারটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ফ্লাইওভারের নিচের লাইটগুলো জ্বললে আরো বেশি সুন্দর লাগতো।

আব্দুর রহিম নামে এক রিকশা চালক বলেন, কি আর বলমু ভাই উপরে আলোকিত হলেই কি নিচে তো অন্ধকার রয়ে গেছে। অন্ধকারের মধ্যে রিকশা নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে আমাদের। নিচের লাইটগুলো যদি জ্বলতো তাহলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়।

এক বাইক আরমান বলেন, আমি প্রতিদিন রাতে এ ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াত করি। কিছু দিন ফ্লাইওভারে রাতে আলো ছিলো না । আমরা ভয়ে যাতায়াত করেছি। এখন আলোর ব্যবস্থায় করায় আমাদের সেই ভয় দূর হয়েছে।

গোলাকান্দাইল এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হাসান বলেন , লাইট ছাড়া ফ্লাইওভার অনিরাপদ ছিলো। পৃথিবীর কোনো দেশে ফ্লাইওভারে অন্ধকার নেই। আমাদের ফ্লাইওভারের সেই সমস্যা দূর হয়েছে। যারা আলোর ব্যবস্থা করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে আমাদের সমস্যা তুলে ধরায় সংবাদচর্চাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এ ব্যাপারে ভূলতা ফ্লাইওভারের ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান বলেন, ফ্লাইওভারের দুই মাসের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না দিতে পারায় নারায়ণগঞ্জ-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনটি কেটে দেয়া হয়। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-২ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ভূলতা ফ্লাইওভারের তিন মাসের এক লক্ষ পনেরো হাজার টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল থাকা সত্ত্বেও লাইন এখনো চলমান রয়েছে।