আজ শুক্রবার, ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ প্রকাশের পরও চলছে না. গঞ্জের জল্লারপাড়ে সজিবের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া

স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ শহরের জল্লারপাড় ও এর আশপাশ এলাকাতে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী মহড়ায় জনসাধারনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে মর্মে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হওয়ার পরও মাদক ব্যবসায়ীদের দেশিয় অস্ত্র হাতে মহড়া অব্যাহত রয়েছে। এতে স্থানীয় সাধারন মানুষ ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক দেখা গেছে।
এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে রাত কাটাচ্ছেন। এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছেন তারা অতি দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য যাতে করে নতুন করে আর যেন দূর্ঘটনা না ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, বিএনপি নেতা হাসান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার গালকাটা জাকিরের আপন ছোট ভাই সজিব। বিএনপি ক্ষমতা ছাড়লে গালকাটা জাকির বিদেশ আতœগোপনে চলে যায়। তার সবকিছু সজিব এখনো নিয়ন্ত্রন করে। ১২ তারিখের বিএনপির সমাবেশে যাবার আহবানে অসংখ্য ফেসটুন সজিব করে, যা শহরে বিভিন্য যায়গায় পরিলক্ষিত হয়।

এলাকাবাসী আরও জানায়, সজিব বড় কবরস্থানের মিঠুর গরু চুরি করে জবাই করে বিক্রি করে। পরে থানায় অভিযোগ হলে বিএনপির হাসান আহমেদ দাফন কাফন কমিটিতে বিচারের মাধ্যমে শেষ করে।
জল্লারপার এলাকার হুশিয়ারির মালিকরা সজিবের জুলুম অত্যাচারে অতিস্ট। টাকা ছাড়া বল পুর্বক সে সব ঝুট নিয়ে যায়। বাচ্চু মিয়ার হুশিয়ারিতে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে সজিব মিম স্টোরের মালিককে মারধোর করে। এর সত্যতা পাওয়া যায়, দোকানের মালিকের সাথে কথা বললে। সে বলে আমি জল্লার পারে নতুন দোকান দিয়েছি এজন্য সজিব আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি ব্যাপারটা এলাকার মুরুববিদের জানাই তারা বিচারের মাধ্যমে মাফ চাওয়ায় ও শেষ করে দেয়।
এছাড়া সজিবের রয়েছে মাদক বিক্রির এক বিশাল বাহিনি। সে ধরাছোয়ার বাইরে থেকে শান্ত, গাজি, মাসুম আারো অসংখ্য যুবকিশোর দিয়ে প্রতিদিন এসব মরন নেশা বিক্রি করায়।
এলাকাবাসী জানায়, কিছু দিন আগে সজিব ইয়াবা ডিলার পিচ্চি হাবিবের ১ হাজার ইয়াবা আতœসাৎ করে। পিচ্চি হাবিব জল্লার পারের মৃত কমল মিয়ার ছেলে। হাবিব সজিব যৌথ ভাবে জল্লারপারের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছিলো। ১ হাজার ইয়াবা আতœসাতের পর দুই গ্রুপে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। এলাকায় খবর নিলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। মুদি দোকানদার সিরাজ, পিঠা বিক্রেতা হনুফার মা আরো অনেকে একথা স্বীকার করে। ঘটনার সময় পিঠার দোকান ভাংচুর হয়। পিচ্চি হাবিব বাহিনি এলাকা হতে বিতাড়িত হয় ও সজিব এলাকায় মাদক ব্যবসার একক নিয়ন্ত্রন নেয়।
এঘটনার রেশ ধরে, পিচ্চি হাবিব সজিবের সেলস ম্যান পলাশকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় সে হাজত বাস করে বর্তমানে জামিনে এসেছে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালের ১০ জুলাই জল্লারপাড় এলাকায় টানবাজারের সুতা ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল সে।
সম্প্রতি স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত হলেই দেশিয় অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া দেয় সজিব। সে জল্লারপাড় এলাকায় প্রকাশ্যেই ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। তার ভয়ে রাতে কেউ ঘর থেকেও বের হয়না। এলাকাবাসী বর্তমানে ডাকাত আতংকে ভুগছে এই সজিবের কারনে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ