আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদপত্র এজেন্ট মোহনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ধামাপাচা দেয়ার চেষ্টা

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের খিরনশাল গ্রামের মাহতাব হোসেন মোহনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ধামাপাচা দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের সাথে যোগসাজশে মাত্র ৪০ হাজার টাকায় এ ঘটনা ধামাচাপা দয়ার চেষ্টা করছে বলে মোহনের পরিবার সুত্রে জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, আলীগঞ্জ, পাগলা ও শাসনগঁও বিসিক শিল্পনগরী এলাকার পত্রিকার হকার এজেন্ট মাহতাব হোসেন মোহনকে গত ১৭ এপ্রিল কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে একই গ্রামের আব্দুল মামুনের ছেলে মশিউর রহমান রাকিব। তার পরের দিন মোহনের স্ত্রী ফাহিমা বেগম চৌদ্দগ্রাম থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মশিউর রহমান রাকিব ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখার সময় মোবাইল চুরি করে হোস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাকিব তার মা’কে নিয়ে টিসির জন্য তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চুরির দায়ে তাকে আটক করে। পরে রকিব ও তার মা মাহতাব হোসেন মোহনের কাছে ফোন করে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য অনুরোধ করে। এ পর্যায়ে মাহতাব হোসেন মোহন মোবাইলের টাকা এবং ২ মাসের হেস্টেল ফি’র টাকা জিম্মা নেয়। মাহতাব হোসেন মোহনের জিম্মায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মশিউর রহমান রাকিব এবং তার মাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে মোহন সেই টাকার জন্য চাপ দিলে হামলাকারী রাকিব ও তার সহযোগীরা ক্ষেপে যায় এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ মোহনের ওপর হামলা করে। পরিবারের লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে মোহন প্রাণে বেঁচে গেলেও তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় মোহনকে চৌদ্দগ্রাম থানা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মোহন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেেছ। তার জীবন এখন সংকটাপন্য। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারনে তর স্মৃতিভ্রম হচ্ছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী মশিউর রহমান রাকিবের বড় ভাই রুবেল একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। গ্রেফতার এড়াতে সে বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। তার নির্দেশে এ জঘন্য হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া ভিকটিম মোহন ও তার পরিবারকে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের সাথে যোগসাজে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পায়তারা করছে বলে জানা গেছে।