নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তজার্তিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক এর সম্মাননা পেল নারায়ণগঞ্জ এর দুই স্বেচ্ছাসেবক নাজিবুল আলম শিমুল ও জান্নাতুল ফেরদৌসি মিতু। আন্তজার্তিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস- ২০২৫ উপলক্ষে পাঁচ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর রূপগঞ্জ এর পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ট্রেনিং কমপ্লেক্স এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক এর সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এনডিসি, এএফডাব্লিউসি, পিএসসি মহোদয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল -সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৮টা থেকে ৮ বিভাগ হতে আগত স্বেচ্ছাসেবকদের নিবন্ধনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ৯টায় স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার। এরপর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত ২২ জন স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন। এই ২২ জনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে দুইজন স্বেচ্ছাসেকব এই সম্মাননা পান। মহাপরিচালক তার প্রদত্ত ভাষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবকদের নিরলস ও সাহসী অবদানের প্রশংসা করেন। দেশের সকল দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবকদের দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও নির্ভীক অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) ভলান্টিয়ারদের অংশগ্রহণে ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমের বাস্তব মহড়া উপভোগ করেন। প্রধান অতিথি তার প্রদত্ত ভাষণে সমবেত স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস হলো স্বেচ্ছাসেবকদের সুসংগঠিত করার, তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার, স্বেচ্ছাসেবার কাজকে প্রচার করার এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন ও উৎসাহিত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ। আমি এই দিবস প্রতিপালনের অনুষ্ঠানে প্রথমেই আমাদের দেশসহ বিশ্বের সকল দেশের ভলান্টিয়ারদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পরে স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক আয়োজন এর মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্ত হয়।

