আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্রীপুরে কারখানায় শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু

শ্রীপুরে কারখানায় শ্রমিকের

শ্রীপুরে কারখানায় শ্রমিকের

শ্রীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক কারখানা শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতের শিফটে কাজ করা অবস্থায় দিবাগত রাত দেড়টায় তার মৃত্যু হয় বলে জানায় শ্রমিকরা।

উপজেলার বোড়াইদেরচালা গ্রামের ডিজাইনটেক্স লিমিটেড নামের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তারিকুল ইসলাম নেত্রকোণা জেলা সদরের বাগড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের চন্নাপাড়া গ্রামে নোমানের বাড়িতে তার দুই সন্তান ও স্ত্রীসহ ভাড়া থেকে ওই কারখানায় চাকরি করতেন।নিহতের স্ত্রী সুমনা বেগম বলেন, তার স্বামী নয় মাস ধরে কারখানায় চাকরি করছেন।

তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থ্যতার জন্য গত শুক্রবার রাতের শিফটে কাজ করতে অপারগতা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঈদের ছুটির পর শিপম্যান্ট জটিলতার কারণে তাকের ছুটি না দিয়ে কাজ করতে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে রাত ১২টার দিকে তিনি অসুস্থ্য হয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ায় সুস্থ্যতা বোধ করেন এবং স্বাভাবিক কাজে ফিরে যান। এর পর রাত ১টার দিকে তিনি হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।কারখানার শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে চাইছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জোট ব্যবসায়ীরা।

এ পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা ক্ষতিপূরণবাবদ ওই পরিবারকে ৫লাখ টাকা দেওয়ার দাবি জানায়।কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি না মেনে নেওয়ায় ক্ষোভ আরও বেশি দানা বাধে। অবশেষে শ্রীপুর থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশের উপস্থিতিতে শ্রমিক আন্দোলনের মুখে দাবির কিছুটা মেনে নিতে বাধ্য হয় ডিজাইনটেক্স কর্তৃপক্ষ।

দুপুরে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয় তারা। পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করে কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।পরে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় কারখানায় ৩দিনের শোক ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।এ ব্যাপারে ডিজাইনটেক্স লিমিটেড-এর জিএম এইচ আর এম কমপ্লাইনস আরিফুজ্জামান কোন কথা বলতে রাজি হননি।শ্রীপুর থানার

উপ-পরিদর্শক(এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কারখানা কর্তৃক্ষের সাথে কয়েকদফা কথা হয়। নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।