আজ শনিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে পরিবহন শ্রমিকরা যানজট নিরসনে মহাসড়কে

শ্রমিকরা যানজট নিরসনে

শ্রমিকরা যানজট নিরসনে

 

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি:
রমজান শেষের দিকে, ঈদ ক’দিন পরেই। সড়ক-মহাসড়কে ছোট-বড় গাড়ির চাপ দিন দিন বাড়ছেই। গাড়ির চালকরা নিয়ম-নীতি না মানার কারণে যানজট লেগে যায় যখন তখন। এসব যানজট নিরসন করতে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ, বিভিন্ন পরিবহন আঞ্চলিক শ্রমিক কমিটির নিয়োজিত কর্মীরা।
রমজানের ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) শ্রমিকরা যানজট নিরসনে কাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাব পৌর এলাকার নিউ ঢাকা থেকে বরপা আড়িয়ার এসিএস মিল পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে তীব্র তাপদাহকে উপেক্ষা করে তারাব পরিবহন আঞ্চলিক শ্রমিক কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ ২০/২৪ জনের টিম ৫টা পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) সভাপতি মোজাম্মেল হক ও সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজট নিরসনে নিউ ঢাকা থেকে বরপার আড়িয়াব পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশের পাশাপাশি লাঠি হাতে কাজ করেন। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটির (৪৯৪) লাল কার্ডধারী ৩৬জন ড্রাইভার হেলপার প্রায় সময় সকলেই যানজট নিরসনে কাজ করেন।
তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, আমরা পরিবহ শ্রমিকরা ঈদকে সামনে রেখে সর্ব সাধারণের নির্বিঘœ যাতায়াত নিশ্চিত করতেই দিনের ও রাতের অনেকটা সময় সড়কের পাশেই থাকতে হয়।
তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, যানজট নিরসনের কাজ করতে গিয়ে গত ৬ মাসে আমাদের ড্রাইভার ও হেলপার ভাই ৯ জনের মতো বিভিন্নভাবে আহত ও দূর্ঘটনার কবলে পরেছে। তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) জাকির ড্রাইভার, আজহার ড্রাইভার, কাশেম ও মজিবর ড্রাইভারকে চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৮০ হাজার টাকার মতো কমিটির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ব্যপারে প্রশাসনের কাছে অনেকেই অভিযোগ করেন চাঁদা আদায়ের বিষয়ে। আমরা কয়েকটা গাড়ি থেকে ১০/২০ টাকা করে চাঁদা নেই। এ চাঁদার টাকা নিয়ম মেনে যেমন নেই, তেমনী নিময় মেনে শ্রমিকদের কল্যাণে নয়ত চিকিৎসার কাজে ব্যয় করা হয়। অনেকে যানজট নিরশনে কাজ করে তাদের বেতন এ টাকা থেকে দেয়া হয়।
শনিবার এ রিপোর্ট তৈরি করার আগে, নিউঢাকা থেকে বরপা আড়িয়াব পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে যাদের দেখা গেছে যানজট নিরসনে কাজ করতে। তারা হলো, মাসুম, শরিফ, জাকির, গোলজার, রফ হোসেন, কাউসার, জাহাঙ্গীর, হোসেন, আহাম্মদ আলী, আকতার হোসেন, ছোরত আলী,বাবুল, মোস্তফা, লিটন, ইলিয়াস,আজহার, মোহাম্মদ আলী।
তারাব বিশ্বরোড পুলিশ বক্সের (টিআই) মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম। ঠিকমতো সড়কে থাকা যায়না। যানজট নিরসনে অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি তারাব সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক কমিটি (৪৯৪) শ্রমিকদের কাছ থেকে।

সর্বশেষ সংবাদ