সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রাজধানীর রূপনগর এলাকা হতে ২,৪০১ (দুই হাজার চারশত এক) পিস ইয়াবাসহ শ্যামলী পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের যুব সমাজ তথা নতুন প্রজন্ম’কে মাদকের নীল দংশনের ছোবল হতে পরিত্রান এবং সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও কঠোর অবস্থান নিয়ে আসছে এবং নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সন্ত্রাস, চরমপন্থী ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মাদক বিরোধী অভিযানে র্যাব বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রেখে চলেছে। গোয়েন্দা ও নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। র্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।
শুক্রবার ২২ জুন সকালে আনুমানিক ০৮.৫০ টায় র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলা হতে কতিপয় মাদক ব্যাবসায়ী শ্যামলী পরিবহনের একটি পাবলিকবাসে বাসের ড্রাইভার ও হেলপার পরস্পর যোগ-সাজসে কক্সবাজার জেলা হতে বিপুল পরিমানে মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দশ্যে ঢাকায় নিয়ে আসছে। প্রাপ্তসংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাবের আভিযানিক দল রাজধানীর রুপনগর থানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং বেড়িবাধ সংলগ্ন বাইতুল নূর মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর বাসটিকে আটক করার জন্য অবস্থান নেয়। বাসটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌছামাত্র থামার জন্য সংকেত দিলে ড্রাইভার বাসটি থামায় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসের হেলপার গাড়ীর মূল দরজা খুলে এবং ড্রাইভার বাসের ডান পার্শ্বের জানালা খুলে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী মোঃ জিয়াউর (২৭), মোঃ আমিনুল ইসলাম মিলন (২৬), কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ইয়াবার চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা লোভে পরে ইয়াবা চালান সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে যাত্রীদের বসার আসনের সীটের উপর ব্যাগ রাখার জায়গায় লাইটের ব্যাঙ্কার এর মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ইয়াবার চালান বের করে দেয়। তারা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন কৌশলে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, টেকনাফ সীমান্ত এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে আসছে। ইতিপূর্বেও তারা মাদকের (ইয়াবা) বেশ কয়েকটি বড় বড় চালান বাসযোগে বহন করে নিয়ে এসে তা বিক্রয় করতে সফল হয়েছে বলে জানায়। অতি লাভের আশায়, রাতারাতি ধনী হবার নেশায়, নিজেদেরকে নিষিদ্ধ এ মাদক ব্যবসায় জড়িয়েছে। ধৃত আসামীদের কে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যারে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আসামীদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।