সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সুমিলপাড়া, ৮ নং ওয়ার্ডের গোদনাইল, বন্দরের ২৭ নং ওয়ার্ডের সোনাচড়া ও ২৫ নং ওয়ার্ডের লক্ষণখোলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কয়েক হাজার বর্গফুট দখল ও ভরাট করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বালু ব্যবসা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। সোমবার ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ তৎপরতা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এসময় ৪টি ড্রেজার, ৫ শতাধিক বর্গফুট ড্রেজারের পাইপ, বাশের পাইলিং গুড়িয়ে দিয়ে প্রায় দুই একর জমি অবমুক্ত করে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর।। এছাড়া জব্দকৃত ৪টি ড্রেজার, ২ টি বালুবোঝাই বাল্কহেড, স্তুপীকৃত বালু ও মাটি ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম এর নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এর যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেন, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ প্রমুখ।
এছাড়া উচ্ছেদ অভিযানে উচ্ছেদকারী জাহাজ, একটি ভেকু, একটি টাগবোট, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার সদস্য ও উচ্ছেদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম জানান, কিছু প্রভাবশালী লোকজন নদীর তীর দখল ও ভরাট করে বালু ব্যবসার পাশাপাশি নদীর তীরে ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু ব্যবসা চালাচ্ছিল। সোমবার অভিযানে বেশ কিছু বালু ব্যবসায়ীদের ড্রেজার, পাইপ, বাশের পাইলিং ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি জব্দকৃত ড্রেজার, বালুবোঝাই বাল্কহেড, স্তুপীকৃত বালু ও মাটি মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। নদী দখলকারীরা যত প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের কোন ছাড় নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।