সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় বিচারের আয়োজন করে স্থানীয় মাতবররা। মাত্র ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে গত ২ দিন বেশ সমালোচনা চলছিল স্থানীদের মধ্যে। অবশেষে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে সেই বিচারক ও অভিযুক্ত দোকানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৫ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) এর ৩ নং ওয়ার্ড নয়াআটি এলাকার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জুলাই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সত্যতা স্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘বিকেলে অভিযুক্ত মুদি দোকানদার রতন মিয়া (৫০), মাদবর জাকির হোসেন ও কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।’
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, গত ৫ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রতন মিয়ার মুদি দোকানে সদাই করতে যান ৭ বছরের কন্যা শিশু। ওই সময় দোকানী রতন শিশু কন্যাটিকে ফুসলিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে সাটার বন্ধ করে দেয়। এলাকাবাসী শিশুটির চিৎকার পেয়ে ছুটে গিয়ে রতনকে ধরে গনপিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী মিল্টন মিয়া, হিরন মিয়া, বিল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ-আলমসহ কয়েকজন মিলে বিচার সালিশী করে মিমাংশা করার কথা ছাড়িয়ে রাখেন।
কিন্তু বিচারকরা গত ৬ জুলাই বিকেলে টায়ার মার্কেট এলাকায় বালুর মাঠে বিচার সালিশে বসে। বিচারে অভিযুক্ত রতনকে মারধর, জোতা পিটা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
ঘটনার খবর চলে যায় জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের কানে। এসপি তখন বলেন, ‘ধর্ষণের চেষ্টার বিচার কোন অবস্থাতেই এলাকায় সালিশী করে মিমাংশা করার কোন এখতিয়ার নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
পুলিশ সুপারের আশ্বাসের ঘন্টা দু’য়েক পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত রতন ও দুই মাদবরকে গ্রেপ্তার করে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।