সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
কখনো মোহাম্মদ আলী, কখনো শাহ নিজাম আবার কখনো মীর সোহেল আলীর পরিচয় দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজী, ঝুট সন্ত্রাসী সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লার পঞ্চবটি হরিহড়পাড়াস্থ আমতলা এলাকার ইসরাম ও নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ আহমেদ ওরফে পিডাওয়ালা মাসুদের।
মোহাম্মদ আলী, শাহ নিজাম ও মীর সোহেল আলীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নিরীহ মানুষের জমি দখল করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই পিডাওয়ালা মাসুদের মূল পেশা । এবারও তেমনি ভাবে হরিহরপাড়া আমতলা এলাকার মরহুম মুসলিম খানের ছেলে ইদ্রিস খানের জমিতে বিল্ডিংয়ের কাজে বাধা প্রদান সহ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা সহ অত্র এলাকা থেকে উচ্ছেদ করারও হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক ভূমিদস্যু মাসুদের হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে এবং চাঁদা দাবির প্রেক্ষিতে ফতুল্লা মডেল থানায় জমির মালিক ইদ্রিস খান একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , নিজ নামে ক্রয়কৃত জমিতে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করলে মাসুদ সহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন জুট সন্ত্রাসী মিলে জমির মালিক ইদ্রিসের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন । ইদ্রিস তাদের ৫ লক্ষ চাঁদা না দেওয়ায় গত ২০ এপ্রিল সকাল ১০ টায় মাসুদ সহ আরো অজ্ঞাত নামের জুট সন্ত্রাসীরা তার জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করেন । জমির মালিক ইদ্রিস বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিবাদীরা তাকে বলে, তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে তারা জমিতে বিল্ডিং নিমার্ণের কাজ করতে দেবে না এবং যদি ইদ্রিস এ বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে ইদ্রিসকে মিথ্যা, মামলা দিয়ে হয়রানি করবে।
এদিকে স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন সাংবাদিকদের জানায়, আমতলা ও আশপাশ এলাকাতে মাসুদের বিরুদ্ধে এরুপ প্রায় ২৫/৩০ টির অধিক অভিযোগ রয়েছে । মাসুদ কখনো মোহাম্মদ আলীর ভাতিজা, কখনো আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নিজাম আবার কখনো ফতুল্লা থানার যুব লীগ নেতা মীর সোহেলের নাম ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে ।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে অত্র এলাকার স্থানীয়রা জানায, ইতিপূবে জমির বিষয়ে শাহ নিজামের নামে কয়েকজন যুবককে এনে মোহড়া দেন সন্ত্রাসী মাসুদ । সন্ত্রাসী মাসুদের কারণে অত্র এলাকাবাসীর সাধারণ জীবন যাপনে ব্যত্যয় ঘটছে। যখন মন চাইছে যাকে খুশি তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, অনেকটা মাফিয়া স্টাইলে অনেকটা মোবাইল ফোনে চাঁদার বিষয়ে হুমদি প্রদান করছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, যেখানে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ হারুন অর রশীদ চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, ঝুট সন্ত্রাসী ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে সেখানে এই টোকাই চাঁদাবাজ মাসুদ কি করে এহে এই ধরনের অপকর্ম কের বেড়াচ্ছে। তাঁর এতো বড় সাহস কিভাবে এলো?
অপর দিকে জমির মালিক ইদ্রিসের করা অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাসেল শেখ সংবাদচর্চাকে বলেন, এই অভিযোগটির বিষয়টি তদন্ত চলছে । কিছু জানতে চাইলে ওসি (মোঃ আসালাম হোসেন)কে ফোন করেন । ওসি আসলাম হোসেনকে ফোন করার পর তিনি বলেন আমি তো জানি না আপনি রাসেলকে ফোন করেন । রাসেল এটার তদন্ত করছে ।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসেল শেখ এর এহেন এ সকল কার্যক্রমে সন্দিহান জমির মালিক ইদ্রিস। তিনি নেয় বিচার পাওযা নিয়ে সঙ্কা বোধ করছেন।
চাঁদাবাজির বিষয়ে শাহ নিজামের সাথে যোগেেযাগ করলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চা বলেন, আমি কোনো পিডাওয়ালা মাসুদকে চিনি না । তবে কোনো ভুক্তভোগী যদি আমার স্মরনাপণ্য হয় অব্যশই আমি তাকে সাহায্য করবো ।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাসুদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তাঁর সাথে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয় নি।