আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শাহরুখের আর ফোন পাইনি: সাকিব

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলার সময় দলের মালিক বলিউড তারকা শাহরুখ খানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও এখন আর তেমনটি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান।

ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন সাকিব। রোববার এই খেলোয়াড়ের জন্মদিনে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে খেলার পাশাপাশি নানা দিকও উঠে এসেছে।

সাকিব কলকাতা নাইট রাইডার্স ছেড়েছেন দুইবছর। কিন্তু স্মৃতিগুলো এখনও ভিড় করে মনের মধ্যে। সেই কেকেআরের বিরুদ্ধে রোববার ইডেনে লড়াই তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।

সাকিব বলেন, কেকেআর, ইডেন! এই দুটো নাম বললে অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসে। প্রথম মৌনুস থেকে যত দিন ছিলাম, সব ক’টাই আমার কাছে স্মরণীয়। চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, মানুষের মন জয় করেছি। আরও একটা ব্যাপার ছিল।

তিনি বলেন, ঢাকা আর কলকাতা- খুব কাছাকাছি বলে আমার বন্ধুবান্ধব, পরিবার, সবাই ম্যাচ দেখতে আসত। কলকাতার মানুষ, ইডেনের দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। যা কোনও দিন ভুলব না।

কেকেআর ছাড়ার পরে শাহরুখ খানের ফোন কি কখনও পেয়েছেন- এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, না, আর পাইনি।

হায়দরাবাদের গত বার ফাইনাল খেলেছে। দলটার এবারের প্রধান শক্তি নিয়ে তিনি বলেন, এই দলটার আসল শক্তি হল, যে কোনও পরিবেশ, যে কোনও পরিস্থিতিতে খেলতে পারে। অলরাউন্ড শক্তি এতটাই ভাল যে, কোনও প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার জন্য আমরা তৈরি। এ বার কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে ঠিক করতে হবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সেরা দল কোনটা হবে।

সাক্ষাৎকারে এশিয়া কাপের প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, সত্যি কথা বলতে কী, আমি জানতাম না আঙুলটার অত খারাপ অবস্থা হয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম, বেশি চাপ পড়ছে বলে আঙুলটা ফুলে যাচ্ছে। পেনকিলার ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলে যাই। তার পরে যখন একেবারে অসম্ভব হয়ে ওঠে, দেশে ফিরে যাই।

চোটের জন্য নিউজ়িল্যান্ড সফরে যাননি সাকিব। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে গুলি হামলার মুখে ওইদিন অল্পের জন্য রক্ষা পান বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার। এ নিয়ে সাকিব বলেন, ওই ঘটনার পরেই আমি কয়েক জন ক্রিকেটারকে ফোন করেছিলাম। ওরা প্রথমে বুঝতে পারেনি, পরিস্থিতি কতটা খারাপ ছিল। পরে গুলি চালনোর ভিডিও দেখে বুঝতে পারে, কত অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। তিন-চার মিনিট আগে যদি মসজিদে পৌঁছত, তা হলে হয়তো ভয়ঙ্কর একটা অবস্থার মধ্যে পড়তে হত আমাদের ক্রিকেটারদের।