আজ শুক্রবার, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শামীম ওসমানের সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় এরা কারা?

অপরাধ প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের মাদক, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু, দুর্নীতি, ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শামীম ওসমান যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন কিন্তু সাধারণ মানষের প্রশ্ন জনসভায় তাহলে এরা কারা?
শনিবার বিকেলে শহরের দুই নং রেল গেইট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে বঙ্গবন্ধু সড়কের জনসভায় নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে জনসভায় আসে। এসকল মিছিলের দেখা গেছে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী পূর্বে মাদক, সন্ত্রাস ও নারী কেলেঙ্কারী মামলায় গ্রেফতার হয়েছে এমন অনেকে। তারা মাদক, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু, দূর্নীতি, ইভটিজিং বিরুদ্ধে জনসভায় যোগদান করেছে তাহলে ওরা কারা? দেখা গেছে বিভিন্ন সময় পুলিশের অভিযানের উপর হামলা করে পালিয়ে যাওয়া ও গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়া সন্ত্রাসীরা ও জনসভায় মিছিল নিয়ে যোগদান করে। এছাড়া দেখা গেছে সরকারী জমি দখলকারী ভুমিদস্যু হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিও ছিলেন। এবং মাদক মামলার আসামী হয়ে জেল খেটেছেন এমন অনেকেই ছিলেন মিছিলে। এছাড়া নারী জনীত কেলেংকারী রয়েছে এমন ব্যক্তিও রয়েছেন মঞ্চে।

নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রশ্ন মাদক, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু বিরোধী জনসভায় জেলে যাওয়া মাদক মামলার আসামী, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী মামলায় জেলে যাওয়া আসামীরা তাহলে কি করে? যারা কিনা মাদক মামলার আসামী হয়েছেন জেল খেটেছেন!

জনসভায় একেএম শামীম ওসমান বলেন, মাদক, সন্ত্রাস,ভূমিদস্যু,দুর্নীতি, ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে সাধারণ মানুষ মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাচতে চায়, সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে চায়, সাধারণ মানুষ চাদাঁবাজদের হাত থেকে বাঁচতে চায়, সাধারণ মানুষ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে চায়, সাধারণ মানুষ অন্যায় অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে চায়, সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চায়, এদের কাছ থেকে মানুষকে বাচানো শুধু মাত্র প্রশাসনের দায়িত্ব না এই দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। ভয় পাওয়ার দিন আর নাই। ইভটিজিং ভূমিদস্যু মাদক, মানুষের উপর জলুমকারীদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষনা করলাম।

জনসভায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, দলীয় নেতা-কর্মী, পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসচেতনা সৃষ্টি করবেন। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, দলের ব্যানারে থেকে যদি কেউ মাদক ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িত থেকে দলের বদনাম করে তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

তাহলে এরা কারা? এরা কি করে? মাদক, সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু ,দুর্নীতি, ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসভায়।

আলোচিত ৭ হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেনের ভাইয়ের ছেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অস্ত্রর আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আলোচিত ৭ হত্যাকান্ডের পর কাউন্সিলর বাদল পলাতকও ছিলেন।

এছাড়া বন্দরের খান মাসুদকে গ্রেপ্তারের পর অস্ত্র, গুলি, ফেনসিডিল, বিদেশী মদ ও বিয়ারসহ উদ্ধার করে র‌্যাব। অপরদিকে ফতুল্লার তালিকাভূক্ত ঝুট সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান কেও দেখা যায় জনসভার মিছিলে।
অন্যদিকে ২০০২ সালে ২রা সেপ্টেম্বর শাহজাহান বাহিনীকে একটি বিদেশী উন্নতমানের রিভলবার ও ২ রাউন্ড ৩২ বোর রিভলবারের গুলিসহ আটকের পর পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ)(এফ) মামলার নং- ৩ করেন। এবং ২০১৪ সালের ৯ই জানুয়ারী ভূমিদস্যুতা ও লুটপাটের অভিযোগ শাহজাহান ও এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং- ৭ ।
এছাড়া তৃতীয় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আদালতের কাঠগড়ায় হাজিরা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন। ঢাকার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তিনি হাজির হয়। জানা গেছে, নাজিম উদ্দিনের কু-নজর পরে সুমাইয়া আলম নামে এক যুবতীর উপর। পরে ভূইগর রূপায়ন টাউনের একটি ১০ তলা ভবনে নিয়ে সুমাইয়া আলমকে কৌশলে মদ পান করিয়ে ধর্ষন করে নাজিম উদ্দিন। ক্ষমতার ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েটিকে প্রায় সময়ই ধর্ষন করত। একপর্যায়ে সুমাইয়া আলমের গর্ভে সন্তান আসলে সুমাইয়া আলমকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করে নাজিম উদ্দিন।

জানা গেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ৯০ ভাগ সন্ত্রাসী শামীম ওসমানের বলয়ে থাকে।