পুরনো সড়ক ৪ লেন করা হবে- আনোয়ার হোসেন
ব্যবস্থা নেয়া হবে বাদ দিয়ে নতুন কিছু বলেন- এবি সিদ্দিক
অপরাধ প্রতিবেদক
রাজা আছে রাজ্য নেই! সড়ক আছে জমি নেই! রাস্তার পাশে সরকারি জমি একটু দখল করলে কি হয়! খালি জায়গাতো, পরেইতো থাকে।
সড়কের পাশের সরকারি জমি কোথায় গেল? নেতাদের ভোগে নাকি ভবন মালিকদের ভোগে! কথা শুধু একটাই সড়কের পাশের সরকারি জমি দখল করলে ভাড়া পাওয়া যায় অনেক। জমি দখলে প্রথম ধাপ আমরা অমুক নেতা! তমুক নেতা! সাধারণ জ্ঞান যদি কোন ব্যাক্তির ১০০ টাকা মূল্যের কিছু হারিয়ে যায় অথবা কেউ নিয়ে যায় বা কারো জমি দখল করে তাহলে কি হয়! সরকারি জমির কি মা-বাপ নেই? দায়িত্বে যারা থাকে তাঁরা তো শুধু ব্যবস্থা নেয়া হবে নেয়া হবে ছাড়া আর কিছু বলেন না! অথচ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া থেকে ঢাকার পোস্তগোলা পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের অংশে জেলা পরিষদের সরকারি জমিগুলো দখল করে রাখা হয়েছে।
এ সড়কের দক্ষিন ও উত্তর পাশের বিভিন্ন মালিকানাধীন ভবনের সামনের অংশে জেলা পরিষদের সরকারি জমি রয়েছে কিন্তু সড়ক ছাড়া ফাঁকা নেই জেলা পরিষদের জমি। তাহলে কোথায় গেল? যে যার মত সড়কের পাশে নির্মিত ভবনের জায়গা দখল করে রেখেছে। কেউ দোকান বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছে, কেই নিজের দখলে নিয়ে দেয়াল তৈরি করে রাখছে। এছাড়া চায়ের দোকান, গেরেজ, মটরের দোকান, বিভিন্ন পণ্যের দোকান, ফার্নিচারের দোকান, রেস্তোরা, বাজার গড়ে তোলা হয়েছে। তবে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের দাবী, অধিকাংশ লোক সরকারি জায়গা আত্মসাৎ করতে চায় নিজের দখলে নিয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাষাড়া থেকে সড়কের উত্তর পাশে মার্কেট, আরেকটু সামনে টিনের সেট দিয়ে রাস্তার সাথে থাকা জমি দখল, তার পর থেকে বিভিন্ন দোকান আর ভবনের সামনের সরকারি জমি দেয়াল দিয়ে দখল করে রেখেছে। মাসদাইর এলাকার কাছাকাছি বাইকের শো-রুম, বিভিন্ন গ্যারেজ এবং পঞ্চবটি পযর্ন্ত সড়কের পুরো পথ জুড়ে দোকানের বাহার। এছাড়া এর পর থেকে দখলের মহাউৎসব। শুধু সড়ক আছে জমি নেই। এছাড়া সড়কের দক্ষিন পাশে ফাস্টফুড, রেস্তোরা, দোকান, ভবন নির্মাণ করে জেলা পরিষদের সরকারি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। এছাড়া পঞ্চবটি থেকে শুধু বাজার আর বাজার। এ সকল বাজার কি পণ্যের বাজার নাকি সরকারি জমি দখলের বাজার।
তবে জেলা পরিষদের সরকারি জমির নাকি কিছু লিজ আছে। এ সকল লিজের তালিকা সর্ম্পকে জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যলয়ের কর্মকর্তার কক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে জেলা পরিষদের একজন ব্যাক্তি নাম সাদিকুজ্জামান বলেন, কর্মকর্তা নেই! তবে প্রতিবেদক জেলা পরিষদের সরকারি জমির লিজের তালিকা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যদি বলিও আপনি মনে রাখতে পারবেন না। আর খালি জায়গা তো নাই! অধিকাংশ লোক সরকারি জায়গা আত্মসাৎ করতে চায়। জেলা পরিষদের খালি জায়গা বলতে এখন শুধু বাড়ি ওয়ালারা যে সকল জমি দখল করে রেখেছে। জেলা পরিষদ ২০ টাকা হারে স্কয়ার ফিট লিজ প্রদান করেছে। কিন্তু এর সংখ্যা অনেক কম।
দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় প্রতিবেদনটি করাতে ভালো হয়েছে যারা লিজ নিয়েছে এখন তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কটি ৪ লেন করা হবে। শুধু মাত্র এখন কাজ করা বাকি। যারা লিজ নিয়েছে তারা মনে করেছে রাস্তা হয়ে যাবে। তাই কেউ লিজ নবায়ণ করতে আসে না। তবে কেউ কেউ আবার আবেদন করেছে। আমরা চাই আমাদের জায়গা গুলো লিজ দিয়ে রাজস্ব আদায় করতে। এছাড়া বিস্তারিত জানতে পারবেন চিফ অথবা চেয়ারম্যানের কাছে।
তবে, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিকি দৈনিক সংবাদচর্চাকে জনান, সরকারের সম্পতি রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা সব দেখেন, সব বোঝেন, কিন্তু তাদের কাছে অভিযোগ করা হলে শুধু একটা কথা বলেন ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, আপনারা ব্যবস্থা নেয়া হবে বাদ দিয়ে নতুন কিছু বলেন তাতে যদি কাজ হয়।
জেলা পরিষদের চেয়াম্যান আনোয়ার হোসেন দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন জেলা পরিষদের জমিতে বেশীর ভাগ দোকানঘর করা হয়েছে। আর সড়কের পাশে যে সকল অবৈধ স্থাপনা করা হয়েছে সেগুলোকে অপসারন করা হবে। এছাড়া জমি আগে যারা লিজ নিয়েছে আমাদের এখানে তাদের কাগজ পত্র পাচ্ছি না। আমরা এ সকল কাগজ নিয়ে এ গুলোকে অপসারন করবো। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কটি ৪ লেন রাস্তা করা হবে বলে সরকার থেকে বলা হয়েছে। তবে সরকার যদি কোন কিছু না করে সেক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা আছে আমরা সুন্দর বনায়ন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করবো।