বিশেষ প্রতিবেদক
প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন ফলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজারে। যার মধ্যে অন্যতম টসটসে রসালো ফল লিচু। রমজান মাসের শুরু থেকে বাজারে আসতে শুরু করলেও বড় মাপের লিচুর দেখা মিলছিলো না। তবে দেরিতে হলেও এখন বাজারে বড় লিচুর দেখা মিলেছে।
সরেজমিনে শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বড় মাপের লিচু। যা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ১০০টি লিচুর খুচরা মূল্য ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। যা গতবছর ছিলো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
গ্রীষ্মের প্রখর গরমে বরাবরই বাড়তি কদর থাকে লিচুর। করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করলেও ফলের বাজারের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। ব্যবসায়ীরা লোকসানের ভাবনায় থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদার কোন কমতি নেই।
শহরের জামতলা এলাকায় ভ্যানে করে লিচু বিক্রি করছিলেন হামিদ মিয়া। যদিও পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রী। তবে প্রতিবছর এসময়ে গ্রীষ্মকালীন ফল বিক্রি করেন তিনি। কারন হিসেবে হামিদ জানান, এসময়টাতে ফলের চাহিদা অনেক থাকে। ব্যবসাও ভালো হয়। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে রোজ ৫০০ টাকা পাওয়া যায় আর এসময়ে ফল বিক্রি করে প্রতিদিন ঘরে ১ হাজার টাকারও বেশি নিয়ে যাওয়া যায়। হামিদ বলেন, অনেকদিন ধরে বড় লিচুর খোঁজ মিলছিলো না। যার দেখা এখন পাওয়া গেছে। প্রতিদিন আড়ৎ থেকে ৩ হাজার লিচু আনা হয়। যা দিনের অর্ধেক সময় পার হওয়ায় আগেই বিক্রি হয়ে যায়।
ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় ভাম্যমান ফলের দোকান থেকে পরিবারের জন্য লিচু কিনতে এসেছিলেন শাহজাহান। তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন সব ফলের মধ্যে লিচু সকলের অন্যতম প্রিয় ফল। এই ফলটি শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষও পছন্দ করে। মুখরোচক আর রসালো হওয়ায় ফলটির চাহিদাও বেশি। তিনি আরও বলেন, গেলো কিছুদিন যদিও লিচু ক্রয় করা হয়নি। কারন লিচুর আকার ছিলো আর স্বাদ ছিলো টক। এখন বাজারে বড় লিচু উঠেছে তাই পরিবারের জন্য বেশি করে রসালো লিচু কিনে নিয়ে যেতে এসেছি।