আজ মঙ্গলবার, ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লক্ষী নারায়ণ স্কুলে এডমিট দেয়ার নামে অর্থ আদায়

নিজস্ব সংবাদদাতা

প্রতিবছরই জেলার বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল লক্ষী নারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের থেকে এডমিট কার্ড দেয়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নিষেধ থাকা স্বত্ত্বেও তা তোয়ক্কা না করে জেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, লক্ষী নারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের থেকে এডমিড কার্ড দেয়ার নাম করে ১ প্রতিটি শিক্ষার্থীদের থেকে হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। যা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন সমপূর্ণ ভাবে নিষেধ করেছেন। এছাড়াও নানা অযুহাতে নেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা।

এবার এ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, মানবিক, এবং ব্যবসায়ি শাখা থেকে প্রায় ৩শ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার মত নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্কুল কমিটির লোকজনকে বিষয়টি অবগত করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক দৈনিক সংবাদচর্চা’কে জানান, আমরা শিক্ষকদের কাছে একপ্রকার জিম্মি রয়েছি, কারন তারা যা বলে তাই করতে হচ্ছে আমাদের। যদি প্রতিবাদ করি তাহলে আমাদের সন্তানদের প্রবেশ পত্র ও পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দিবে না। তাই আমরা মুখ খুলতে পারিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, আমাদের এলাকার বেশির ভাগ মানুষ দিন আনে দিন খায়। তার মাঝে অনেকে গার্মেন্টেসে এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাসা ভাড়া দিয়ে কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়। এ আয় থেকে ছেলে সন্তানদের কোন রকমে পড়া লেখা করাই। এর মাঝে যদি শিক্ষকরা যদি এত এত টাকা চায় তা আমরা কোথা হতে দিব।

এদিকে গত ১১ নভেম্বর জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেছেন এবার কোন প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত টাকা নিলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই সভায় তিনি আরো জানান, কেউ অতিরিক্ত অর্থ চাইলে জেলা প্রশাসক তার নিজের ফোন নম্বর (০১৭১৩০৮১৩৫৩) ও দুদক হটলাইন ১০৬ তে অভিযোগ করার পরামর্শ প্রদান করেন।

শিক্ষা বোর্ডের দেয়া বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য কেন্দ্র ও ব্যবহারিক ফিসহ মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ফি ১,৮৫৯ টাকা ও বিজ্ঞান শাখায় ১,৯৭০ টাকা নির্ধারণ রয়েছে।

এষিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস তা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের থেকে এমন কোন টাকা নেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেহেনা আকতারের ০১৭০৮৪৪২২৬৬ এই নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলামের মুঠো ফোনে রাত ৭ টা ১৩ মিনিট থেকে সারে ৭ টা পর্যন্ত একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি তা কেটে দেন।

আরআই/এসএএইচ