#কর্তৃপক্ষকে নজরদারিতে আনুক নয় বন্ধ করে দিক : সুজন
# জনবল সংকট থাকায় নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না : এএসপি ওমর ফারুক
বিল্লাল আহমেদঃ
নারায়ণগঞ্জের রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগরীর সাধারণ মানুষ। দায়িত্বে থাকা জি আরপি পুলিশ ঘুমিয়ে পার করে দিন, রাত কাটায় চায়ের দোকানে। এছাড়া স্টেশনে যাত্রীদের বসার জায়গার সংকট থাকলেও নেই দোকানের সংকট এমন অভিযোগ করেন স্টেশনে অবস্থানরত স্থানীরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সাধারণ সম্পাদক র্ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ রেল পথে ট্রেনে ছিনতাই, চুরি, যাত্রীদের ঝগড়া-বিবাধসহ বিভিন্ন অপরাধ অনিয়ম প্রতিনিয়ত চলছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে শুরু করে পাগলা স্টেশন পর্যন্ত ক্ষমতাসীনরা দোকান বসিয়ে বাণিজ্য জিআরপি পুলিশের চোখে পড়েই না। তারাতো ঘুমিয়ে থাকে ভুলে গিয়েছিলাম। এছাড়া তিনি রাগান্বিত কন্ঠে বলে সাধারন মানুষের মৌলিক অধিকার প্রদানে সরকার থেকে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ক্ষমতা প্রয়োগ করে নিজেদের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত আর বাকি সময় ঘুমিয়ে পার করে। কবে অবসর হয়ে পেনশনের টাকা গুনবে সেই অপেক্ষায় থাকে তাঁরা। নারায়ণগঞ্জ জিআরপি পুলিশ র্দীঘ ১০ বছরে কোন কাজ করেছে আমাদের মনে পরেনা। এদের দায়িত্ব পালনের বিষয়গুলো সরকার নজরদারিতে আনুক নয়তো জিআরপি পুলিশ বন্ধ করে দেয়া হক। শুধু শুধু সরকার এদের পিছনে জনতর ট্যাক্সের টাকা খরচ করছে কেন? এ টাকা আমাদের সাধারণ মানুষে রাজস্ব দিয়ে তৈরি।
চাষাড়া থেকে ঢাকা কমলাপুরগামী যাত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ট্রেনে প্রতিদিন ছিনতাই চুড়িসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে তবে এর বিরুদ্ধে রেল পুলিশকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখি নাই । এছাড়া পাগলা থেকে নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনে আসা মাইনুল হাসান রুমান বলেন, ঢাকা থেকে এসেছি কেউ টিকেট কাটে কেউ কাটেনা। এছাড়া ভিড়ের মধ্যে নারীদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় তাই আমরা এখন ট্রেনে পরিবার নিয়ে আসতে চাইনা তবে ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যাতায়েতর জন্য ট্রেনে করে আসে এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রেল পথের পুলিশকে এক মাত্র কমলাপুর ছাড়া আর অন্য কোথাও দেখা যায় না।
১৬ কিলোমিটারের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল পথে প্রতিদিন ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। স্বল্প খরচে হাজারো যাত্রির যাত্রা পথ এই রেলপথ। তবে এ পথে নিরাপত্তা নেই জেনেও নিজ দায়িত্বে চলাচল করেন যাত্রিরা। ছিনতাইকারী মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার পিছনে তাড়া করতে হয় মোবাইল উদ্ধার করতে যাত্রীদের। পথের রাস্তা শেষ হয়ে যায় কিন্তু বসার স্থান নিয়ে নারী পুরুষের বাকবিতন্ধ শেষ হয় না। কতৃপক্ষের প্রতি ঘৃনা ও বঞ্চনায় যাত্রীরা রাগ নিমিস করে।
এছাড়া চাষাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ রেল ষ্টেশনে মাত্র ২ কিলোমিটার। আর এই রেললাইন রেল ওয়ের নিজস্ব সম্পতি। নীতি মালা অনুযায়ী লাইনের দু পাশের জমির মধ্যে যান চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরোটাই ভিন্ন! এখানে গড়ে উঠেছে ফুটপাত এদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা নেয় দায়িত্বে থাকা নারায়ণগঞ্জের জিআরপি ফাড়ি। রেলওয়েতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হানিতে লাশের মিছিল সারা বছর বাড়ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে দুর্ঘটনা? নেই রেল লাইনের উভয় পাশে পারাপারের পর্যাপ্ত জায়গা নেই? কেন কয়েক সেকেন্ডে হয়ে যায় লাশ!
সরজমিনে রেলওয়ের নারায়ণগঞ্জ জিআরপি ফাঁড়িতে দেখা যায়, দুপুর বেলা ভেতরে ঘুমিয়ে পুলিশ সদস্যরা তবে নেই রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপ-পরির্দশক মীর সাব্বির। একজন এসে বলেন, তিনি বাইরে আছেন। পুনরায় গতকাল রাতে গিয়ে কথা হয় জিআরপি পুলিশের সদস্য রেজা সাথে তিনি বলেন, মোট ১১ জন পুলিশ আমরা। অন্য স্টেশনে যাওয়ার জন্য আমাদের অস্ত্র নেই তাই অভিযান পার্টির অপেক্ষা করতে হয় । লোকজন থাকলে ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব থাকে মূল দায়িত্ব হচ্ছে আমাদের প্লাটর্ফম নিয়ন্ত্রনে রাখা। আর বাকি দায়িত্ব হচ্ছে দুর্ঘটনায় মৃত দেহের ময়না তদন্ত করতে সহযোগিতা করা। তবে বেঙ্গল পুলিশের দায়িত্ব অনেক তারাই তো রাতে থাকে।
তবে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপ-পরির্দশক মীর সাব্বির বলেন, ভিন্ন কথা ৯ জন জিআরপি পুলিশ সদস্য নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত রেলওয়ের অভিযান করে এবং জনবল সংকট রয়েছে বলেও তিনি জানান। প্রতিবেদক জিআরপি পুলিশের দিনের বেলা ঘুমিয়ে থাকা ও রাতে চায়ের দোকানের আড্ডার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথার পাশ কাটিয়ে বলেন এ বিষয় আমরা দেখবো। রেলওয়ে
পুলিশের ঢাকা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ওমর ফারুক দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন মূলত আমাদের জিআরপি পুলিশের জনবল সংকট থাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন গুলো পুরোপুরি ভাবে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু মাত্র নারায়গঞ্জ,চায়াড়াও ফতুল্লা এলাকায় জি আর পি পুলিশ কাজ করে থাকে। তবে যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আমরা আরো নজরদারিতে আনবো।

