রূপগঞ্জে সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরতে এমপি গাজীর বিলবোর্ড স্থাপন
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি:
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর থেকে শিক্ষা,চিকিৎসা,বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি,খাদ্যে স্বয়ংসম্পর্ণতা অর্জন,রাস্তা ঘাট নির্মান,তথ্যপ্রযুক্তিতে বিপ্লব,কৃষি খাতে ভর্তুকি ,জঙ্গিবাদ দমন, দৃশ্যমান অবকাঠামোর উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে নারায়নগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক রূপগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটা পাড়া মহল্লায় ব্যানার, বিলবোর্ড স্থাপন করেছে।
জনগণের সামনে বিএনপি জামায়াতের লুটপাট,মানুষ খুন এবং আওয়ামীলীগ সরকারের সফলতা তুলে ধরতে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
দৈনিক সংবাদচর্চাকে একান্ত স্বাক্ষাতকারে গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন,রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।প্রত্যেকটা স্কুল কলেজে নতুন ভবন নির্মান করেছি,ল্যাপটপ বিতরণ সহ ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছি।যানজট নিরসনের লক্ষে ভূলতায় কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ সমাপ্তের দিকে। গন্ধবপুরে তৃতীয় শীতলক্ষা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে।রূপসী হতে কাঞ্চন পর্যন্ত রাস্তার ফোর লেনের কাজ শুরু হবে।স্বাস্থ্যসেবার মানউন্নয়নের জন্য আধুনিক হাসপাতাল নির্মান করা হবে।
তিনি বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের কিছু চিত্র তুলে ধরণে জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন,:২০০১ সালের ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামাত জোট সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর অবর্ণনীয় হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছে।
দেশ আবার আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়ে। জেএমবি, হিজবুত তাহরীর মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো প্রকাশ্যে তাদের অপতৎপরতা চালাতে শুরু করে। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় একই সময়ে প্রায় ৫০০ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। সিলেট,সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি, ময়মনসিংহসহ দেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করে। উত্তরাঞ্চলে বাংলা ভাই ও আবদুর রহমানরা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।
বিএনপি যুদ্ধাপরাধীস্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা পতাকা তুলে দেয়। ধর্মান্ধতাকে প্রশ্রয় দেয়।জনগণের নাভিশ্বাস উঠে। বিএনপি-জামাত জোট দুর্নীতি, মানি-লন্ডারিং, হত্যা ও দুঃশাসনের সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিকেও পঙ্গু করে। বিদেশে বাংলাদেশকে বন্ধুহীন করে। ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার তৈরী করে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছিল। জনগণ তাদেরকে সেই অপকর্ম করতে দেয়নি।
গোলাম দস্তগীর গাজী সরকারের সারা দেশের মেগাপ্রকল্প সম্পর্কে বলেন,দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতু। নিজস্ব অর্থায়ণে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান , দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর পর চোখের সামনে মাথা তুলে দাঁড়ায় পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণের ৫২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বছরে শুরু হবে রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ। প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটারের এই সেতুটি ভারতের আসামে চালু হওয়া দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘতম হাজারিকা সেতুর যার দৈর্ঘ ৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তার চাইতেও পদ্মাসেতু হতে চলেছে ১৩৩গুন বেশি শক্তিশালী।
যানজট দূরীকরনে ফ্লাইওভার:রাজধানীর যানজট নিরসনে ২০টি স্থানে ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, বাসস্ট্যান্ড, বাস টার্মিনাল ও পার্কিং এরিয়া নির্মাণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আওয়ামীলীগ সরকার গত নয় বৎসরে ঢাকা বাসীকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার ও ওভারপাস উপহার দিয়াছেন। যার মধ্যে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার, মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোডে প্রেসিডেন্ট এম জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার, কুড়িল, ফ্লাইওভারমগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, বনানি ওভারপাস এবং বিজয় সরণি-তেজগাঁও লিংক রোড ও রেলওয়ে ওভারপাস প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীতে সাবমেরিন:গত মার্চ মাসে প্রথমবারের মত চীনের কাছ থেকে কেনা দুটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। ‘নবযাত্রা’ এবং ‘জয়যাত্রা’ নামের দুটি সাবমেরিন টর্পেডো এবং মাইন দ্বারা সুসজ্জিত, যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনকে আক্রমণ করতে সক্ষম।বাংলাদেশ নৌবাহিনী আগে দ্বিমাত্রিক ছিল। দুটি ডাইমেনশনে তারা কাজ করতে পারতো।। নৌবাহিনীর ফ্লিটে নতুন দুটি সাবমেরিন যোগ হওয়ার ফলে নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসেবে যাত্রা শুরু করলো।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দি ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে যুক্ত হয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথে যাত্রা:রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সরকার সক্ষম হয়েছে।
জঙ্গি দমনে সফলতা:জঙ্গিদের দমন করে বর্তমান সরকার বহি:বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।
রেকর্ড প্রবৃদ্ধি ৭.২৮, মাথাপিছু আয় ১৬১০ ডলার দেশ স্বাধীনের পর জিডিপি’র আকার ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াতে যেখানে সময় লেগেছিল ৩৪ বছর, সেখানে স্বল্প সময়ে এ অর্জন রেকর্ড পরিমাণ।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের উদ্ধোধন:পাবনার রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্র,মাতারবাড়ি বিদ্যুতকেন্দ্রের উদ্ধোধন করা হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক দেশের ১০ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প ও চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে ১৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ।বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের রেখে যায় মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত।দেশের মানুষের বিদ্যুতের আর তেমন কোন কোনো ঘাটতি থাকছেনা ।
তথ্য প্রযুক্তি খাতে চমক:সারা দেশে ৪৫০০ ইউনিয়ন পরিষদে ই-সেবা চালু করা হয়েছে যার সুফর দেশবাসি ভোগ করছে। যশোরে দেশের প্রথম আইটি পার্ক যা শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক) নামেও পরিচিত যেখানে প্রায় ২০০০০ তরুনের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে তার যাত্রা শুরু হয়। আরও ছিল ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুচনার প্রথম সফলতা বিশ্বের প্রথম মানবিক রোবটের বাংলাদেশে আগমন যার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুনদের মাঝে অত্যাধুনিক রোবট নির্মানের দ্বার উম্মোচিত হয়।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট,ফোর জি সেবা চালু।
মেট্রোরেল প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি:মেট্রোরেলের একাংশের কাজ ২০১৯ সালে সমাপ্ত হবে।দৃস্টিনন্দন কুড়িল ফ্লাইওভার,,বনানী ফ্লাইওভার ও খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নতুন ফেইজ উদ্বোধন করার ফলে ঢাকার যানজট কমেছে।অন্যদিকে হাতিরঝিলের রাস্তা একদিকে জ্যামজট কমিয়েছে অন্যদিকে দৃস্টিনন্দন স্থাপত্য মানূষের মন কেড়েছে।
রেলখাতে রেলের ইঞ্জিন-বগি বৃদ্ধি,,টঙ্গী হতে ভৈরব বাজার পর্যন্ত ডাবল লাইনে উন্নিতকরণ,,২য় ভৈরব রেল সেতু স্থাপন,,ঢাকা হতে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করা হয়েছে।প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে উত্তরা থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে এই মেট্রোরেল। সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম। বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রো রেলের দৃশ্যমান অংশের নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
চিকিৎসা সেবা, বিনামূলা সারা দেশে কয়েক কোটি লোকের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
