সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের কলিঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বের একটি মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার ১৬ নভেম্বর বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদ মিয়ার (৪২) গ্রুপের সাথে একই এলাকার দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি আকরাম (৪০) গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ তৌহিদ গ্রুপের ০৮ জনকে দেশীয় অস্ত্র সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলেন আলাল উদ্দিন ( ৩২) পিতা-হেলাল উদ্দিন, মোঃ তারেক (১৮) , বাদল মিয়ার ছেলে বেলায়েত হোসেন (২৪), হাজী ফেকুন মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৪), লিটন মিয়ার ছেলে
রাসেল মিয়া ( ৩২), কাউসার ( ৪০), হাসান আলীর ছেলে মোঃ ফোরকান মিয়া (৩৮), মৃত সলিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ হারিছ উদ্দিন (৪৫)।
সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনায় তৌহিদ গ্রুপের হাসান আলী ও আকরাম গ্রুপের শান্ত গুরুতর জখম হয় বলে জানা যায়। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর আনুমানিক রাত ৪ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন কলিঙ্গা এলাকা থেকে রাব অভিযান চালিয়ে দাউদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শান্ত (২৪) কে আটক করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় শান্ত জামিন নিয়ে তার নিজ বাড়িতে আসার সময় তৌহিদ গ্রুপের লোকজন তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে জানা যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা তৌহিদের বাড়ি ঘেরাও ও ভাঙচুর পূর্বক থানা পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবলীগ নেতা তৌহিদের বাড়ি থেকে বর্ণিত ০৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষ রূপগঞ্জ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, দাউদপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের রোববার কোর্টে চালান করে দেওয়া হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। একপক্ষের অভিযোগ পেয়েছি।