আজ মঙ্গলবার, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে চাঁদার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি ভাংচুর লোটপাট

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ব্যপক ভাংচুর, লোটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির কেয়ারটেশারকে গুলি করে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৫০ ব্যাগ সিমেন্ট, দোকানের সার্টার, রাজ মিস্ত্রী ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রীরির কাজের যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ৫নং ক্যানেল এলাকায় শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারি আমিনুল হকের লিখিত অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, উপজেলার বলাইখা এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে কামাল (৩৫), গোলাকান্দাইল এলাকার মৃত মাহমদ আলীর ছেলে হানিফ (৩০), নাগেরবাগ এলাকার প্রেসিডেন্টের ছেলে সালাউদ্দিন বাদল (৩৫), একি এলাকার আব্দুল ওহাব মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৩২), সুমন, জাহাঙ্গীরসহ আজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের একটি বাহিনী এ ঘটনা ঘটায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, নাগেরবাগ ও ৫নং ক্যানেল এলাকায় কামাল ও হানিফের সাথে সোনারগাঁও থানার এসআই মনির আড্ডা দেন। ব্যবসায়ীর বাড়িতে যখন ভাংচুর ও লোটপাট চলে সে সময় এসআই মনির সিভিল পোষাকে অস্ত্র হাতে ছিলেন। এসময় ককটেল ফোটানোর শব্দ পাওয়া যায়। প্রায় ৬০ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ যুবক দলের হাতে লোহার রড, দা, চাপাতি, হকিষ্টিক দেখে এলাকায় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়।

বাড়ির কেয়ারটেশার সাইজুদ্দিন সাজু জানান, ব্যবসায়ী আমিনূল হক এখানে সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। বাড়ি নির্মানাধীন আমি দায়িত্ব পালন করি। কামাল, হানিফ, বাদল, দুলাল প্রায় সময় বাড়ির মালিকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। আমি পারবনা বলে সাফ জানিয়ে দেই। আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।

এ ঘটনায় অভিযোক্ত কামাল, হানিফ, বাদল, দুলাল এর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আমরা ভাংচুর করিনাই। আমরা এলাকার ছেলে হিসেবে কে বাড়ি করছেন দেখতে যাই। আমাদের সাথে সাজুর সম্পর্ক খারাপ না। দুষ্টমি করে কত কথাই বলি। অপর অভিযোক্ত এসআই মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি রূপগঞ্জ থানায় চাকুরী করতামসুবাধে অনেকের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। মাঝেমধ্যে সময় পেলে তাদের সাথে দেখা করতে যাই, এর বেশি কিছুনা।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির এ ঘটনার সম্পর্কে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করতে পুলিশ পাঠাব। তবে এসআই মনির ছিলনা কি সে সম্পর্কে আপাদত কিছুই বলতে পারব না। তবে প্রকৃত অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবেন না। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।