আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে কারখানার বর্জ্যইে জলাবদ্ধতা

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : রূপগঞ্জে কয়েকটি কারখানার বর্জ্য আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে । বৃষ্টির পানিতে বর্জ্যে আটকে পড়ার ফলে এলাকার জমি, ঘরবাড়ি, পুকুর পানিতে সয়লাব হয়ে পানিবন্ধী হয়েছে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। দূর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, আটকা পানি পঁচে নষ্ট হওয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এলাকাবাসী পড়ছে স্বাস্থ্য ঝুকিতে। পদ্মা ব্লিচিং এন্ড ডাইং  ও ইউনিয়ন ষ্টিল টিউবের (বিষাক্ত এসিড পানি) বর্জের পানি আটকে পঁচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বিদ্যানিকেতন স্কুল সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে এমনই একটি চিত্র দেখা যায়।

স্কুল শিক্ষক আবদুর রহিম জানান, ক্লাশ নিতে গেলে র্দুগন্ধে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ রুমে থাকতে চায় না। এদিকে বলাইখা এলাকার শরীফ, আমিনুল ইসলাম ও সাহাবুদ্দিন বলেন, আটকে পড়া পানি শত চেষ্টা করেও নিষ্কাশন করা যায়নি। রেজা গ্রুপের মেসাস পদ্মা ব্লিচিং এন্ড ডাইং, ও মেসাস ইউনিয়ন ষ্টিল টিউব লিমিটেডের বর্জ এলাকার পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় হচ্ছে। ফলে এলাকার মানুষের বসবাসের অনুপযোগীসহ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে কথা বলেও কোন লাভ হয়নি। এদিকে কয়েকবার চেষ্টা করেও পদ্মার মালিকের সাথে কথা বলা যায় নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মা ব্লিচিং এন্ড ডাইং মিলে ইটিপি থাকা স্বত্বেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। রং-এর পানিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকবার পানি নিষ্কাশনসহ ক্যানেল পরিষ্কার করা হয়েছে। তাতে কোন লাভ হয়নি। আগে এখানে আটকে পড়া বৃষ্টির পানি স্বাভাবিক ভাবে বের হতো। এখন বৃষ্টির পানির সাথে রংয়ের পানি, পলিথিন ও কারখানারগুলোর বর্জের ময়লা একত্রে মিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

গোলাকান্দাইল এলাকার রমজান আলী জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে টাকা দিয়ে সব কিছু করে থাকে মিল মালিকপক্ষ। তাই সমস্যার সমাধান হবে না।

পরিষদের সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর দুর্দশার কথা চিন্তা করে আমরা আটকেপড়া পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছি। আগে কোনদিন এলাকায় জলাবদ্ধতা ছিল না। ছেলেমেয়েরা এখানে খেলাধুলা করতো। এরই মধ্যে পরিষদের টাকায় একটি সেচ পাম্প বসিয়ে পানি নিস্কাশনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে সুইচ গেইট খুলে দিয়ে জলাবদ্ধতা থাকবে না।

গোলাকান্দাইল ইউনিয়ের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন ভুইয়ার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই পরিষদের টাকা দিয়ে একটি পাম্প বসিয়ে পানি নিস্কাশনের কাজ চলছে। আটকে পড়া পানি বেশী হওয়ায় ফলে নিস্কাশনে দেরী হচ্ছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ