আজ শনিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে এমপি গাজীর নেতৃত্বে উজ্জীবিত আ.লীগ,বাড়ছে ভোট ব্যাংক

রূপগঞ্জে এমপি গাজীর নেতৃত্বে

রূপগঞ্জে এমপি গাজীর নেতৃত্বে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জ রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। রাজনৈতিকভাবে নারায়ণগঞ্জ ১( রূপগঞ্জ )আসনের গুরুত্ব সকল দলের কাছে বেশি। শিল্প অঞ্চল হওয়ায় এখানে রয়েছে শ্রমিকদের বিশাল ভোট ব্যাংক।

২০০৮  সালের ২৯ শে ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামানকে হারিয়ে সবার নজর কারেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। তিনি রূপগঞ্জের দৃশ্যমান উন্নয়ন করে চমক লাগিয়ে দেন রূপগঞ্জবাসির।

স্বাধীনতার পরবর্তী ৮০ দর্শক থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রূপগঞ্জ উপজেলায় আ.লীগের অবস্থা ছিলো করুণ। ১৯৯৬ সালে সাবেক সেনা প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীকে পরাজিত করে রূপগঞ্জ আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে নেন।

মেজর জেনারেল (অব.) কেএম সফিউল্লাহ বীর উত্তম এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সফিউল্লাহ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়ার  মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে । তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নিক্রিয় দর্শকের মত ঘরে বসে থাকে। দলীয় কোন্দলের কারণে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে হারতে হয় আ.লীগকে।

গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক  নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রূপগঞ্জ  উপজেলা আ.লীগের মন্দভাব কাটিয়ে নতুন রূপে উজ্জীবিত হয়েছে।

শিল্পপতি গোলাম দস্তগীর গাজীর রূপগঞ্জে  রয়েছে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা। স্থানীয় বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়া যুবকদের আস্থা অর্জন করেছেন। বাড়ছে তার এবং আ.লীগের ভোট ব্যাংক।

বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আ.লীগের সমর্থিত প্রার্থীরা বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিদ্রোহী এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজিত করেছেন।

বিভিন্ন সময় গোলাম দস্তগীর গাজী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে শান্তি প্রিয় রূপগঞ্জবাসিকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা  করেন। বিষয়টি রূপগঞ্জ বাসি ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।

দেখা গেছে ২০০৯ সালের পর থেকে গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ,মহিলা লীগ,যুবমহিলা লীগ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে প্রতি শুক্রবার,শনিবার মতবিনিময় সভা করছে। আ.লীগের নেতার্মীদের সুখে দুঃখে পাশে দাড়াতে দেখা গেছে।

আ.লীগের দলীয় এবং জাতীয় দিবস গুলোতে গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মসূচি পালনের কর্মীদের সর্বসময় সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে।

জানা গেছে গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্ব দেখে অনেকটাই দিশেহারা হয়েছে পড়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তারা মাঠ দখলে নিতে পারছে না অনেকটাই কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে।

একটি জরিপে দেখা গেছে ২০০৯ সালে গোলাম দস্তগীর গাজী ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের কর্মী সমর্থকদের পরিমাণ দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।  কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে উঠছে রূপসীর গাজী ভবন। সকাল হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে  নেতাকর্মীদের আসা যাওয়া।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রূপগঞ্জ উপজেলায় ভোটের হওয়া বইতে শুরু করছে। সেই ভোটের হওয়ায় চালকের আসনে রয়েছে জনপ্রিয় সংসদ সদস্য  গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।

দেখা গেছে রূপগঞ্জে  শেখ হাসিনার মাধ্যমে গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে সর্বকালের সেরা উন্নয়ন হয়েছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর উন্নয়ন দেখে ঈষান্বিত হয়ে মিথ্যাচার শুরু করছে সুবিধাভোগী হাইব্রিড নেতারা। আ.লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উস্কানি দিয়ে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করছে, নৌকাকে হারানোই উস্কানিদাতাদের লক্ষ ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে,২০০৯ সালের পর থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে আ.লীগ সুসংগঠিত রয়েছে। বাড়ছে আ.লীগের ভোট ব্যাংক।আগামী নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী  নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে চালকের আসনে থাকবে।

৪২ বছর ধরে রূপগঞ্জ আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন এমন একাধিক নেতাকর্মীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের নতুন রূপদান করছে গোলাম দস্তগীর গাজীর । সেই ৮০ দশকে আমরা আওয়ামীলীগ করার জন্য লোকই পেতাম না, বড় জোর থানা কমিটি গঠন করার জন্য হাতে গোনা ১০ থেকে ১২ জন ছিলাম। ইউনিয়নে ২ থেকে ৪জন। আর ওয়ার্ডের কমিটি তো চিন্তাই করা যেতো না। সেই সময় সমাজের কিছু শিক্ষিত, সাধারণ শ্রমিক ও মধ্য শ্রেণির লোকজন আওয়ামী লীগকে পছন্দ করতো। কোন ধনী লোক রাজনীতি করতো না। ওই সময় আওয়ামীলীগকে গরীবের দল বলতো। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে যারা দলকে ধরে রেখেছে তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের আনসার আলী, তুমুলিয়ার এডভোকেট সাহাবউদ্দিন, তারাবোর ওয়াজদ্দিন ভূইয়া, জামাই মান্নান ওরফে বেনু স্যার, রূপসীর সিরাজুল ইসলাম সুরুজ খান, বরপার আলী আহম্মদ, গন্ধর্বপুরের জাহিদুল হক, মুড়াপাড়ার ডাঃ জলিল, সিরাজ ভুইয়া, রূপগঞ্জের মালেক স্যার, কায়েতপাড়ার তারা মিয়া, ওহেদ আলী, ভুলতার আমির হোসেন, গোলাকান্দাইলের আব্দুল মান্নান, কাঞ্চনের জহির উদ্দিন মেম্বার। আর তরুণদের মধ্যে ছিল তারাবোর মজনু ভূইয়া, শ্রমিক নেতা মজিবর রহমান ভুইয়া, এনামুল হক, শেখ সাইফুল, আমির হোসেন ভূইয়া, মানজারী আলম টুটুল, আজমত আলী প্রমুখ।

মূলত এরপর থেকেই রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে শক্তিবৃদ্ধি হতে শুরু করে।

গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) রূপগঞ্জ উপজেলায় ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত   রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে নজির বিহীন আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির গদীতে ঝাঁকুনী দিয়ে দেশের একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি পান।

সর্বশেষ সংবাদ