আজ শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে অন্তিম পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

অন্তিম

অন্তিম

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জে  বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে অন্তিম পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় দুই ঘন্টাব্যপী অবরোধ করে রাখেন। এতে করে শত শত যানবাহন আটক পড়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বরপা এলাকার অন্তিম নিটিং ডাইং এন্ড ফিনিশিং ও অন্তিম নিট কম্পোজিট নামে পোশাক কারখানার সামনে ঘটে এ ঘটনা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, বরপা এলাকার অন্তিম নিটিং ডাইং এন্ড ফিনিশিং ও অন্তিম নিট কম্পোজিট নামে পোশাক কারখানায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এ কারখানায় গার্মেন্টস সেকশন, নিটিং সেকশন, ডাইং সেকশন ও প্রিন্টিং সেকশন রয়েছে। এর মধ্যে নিটিং সেকশন, ডাইং সেকশন ও প্রিন্টিং সেকশনে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করে।

প্রতি মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে সকল সেকশনের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা থাকলেও গার্মেন্টস সেকশনে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছেন মালিকপক্ষ। এছাড়া নিটিং সেকশন, ডাইং সেকশন ও প্রিন্টিং সেকশনের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই শ্রমিকরা মালিকপক্ষের কাছে তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে আসছে। মালিকপক্ষ দেই দিচ্ছি করে ঘুরাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে গত শনিবার ও রোববার ওই ৩ সেকশনের শ্রমিকদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। সোমবার বেতন-ভাতা পরিশোধ করার আশ^াস দেয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকরা পুর্বের কথা অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাননি।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কারখানার সামনে অবস্থান করেন বেতন-ভাতা থেকে সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকরা। এসময় গার্মেন্টস সেকশনের শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করা বন্ধ করে দেয়া হয়। সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধের ফলে সড়কের উভয় দিকে শত শত ছোট বড় যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে এম্বুলেন্সও আটক পড়ে যায়। ভোগান্তির শিকার হয়ে অনেকে পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌছায়। খবর পেয়ে জেলা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি জাহিদুল ইসলাম, এএসপি জিনিয়ার নেতৃত্বে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশের একদল মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে কারখানার ডাইরেক্টর দেলোয়ার হোসেনসহ মালিকপক্ষ প্রতিনিধি মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ^াস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেয়।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে আরো জানান, তারা অতিরিক্ত টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এবং মুদিমনোহরী বাকিতে ক্রয় করে কাজ করে আসছেন। মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাসা ভাড়ার টাকা ও মুদিমনোহরীর টাকা পরিশোধের জন্য অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এখন বেতন-ভাতা না পেয়ে দেয়ালের সঙ্গে তাদের পিঠ ঠেকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন।

জেলা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আপাতত শ্রমিকরা শান্ত রয়েছে। মালিকপক্ষ কথা দিয়েছেন আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করবেন।