নারায়ণগঞ্জ ৪ আসেনর সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘বড় বড় সুশীল, কুশীল, আতেল, ফাতেল যা আছে তারা মানবাধিকারের কথা বলেন, গণতন্ত্রের ডেফিনেশন দিচ্ছেন। মাথায় আস্তে আস্তে রক্ত উঠতেছে। যেদিন ফাইনালি রক্ত উঠে যাবে সেদিন মাঠে থাকবে না কেউ। কারণ আমরা রাস্তার লোক, রাস্তা থেকে সৃষ্টি হয়েছি।’
গতকাল বিকেলে শিল্প-সংস্কৃতিতে অবদান রাখা ৫ গুণীজনকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই নারায়ণগঞ্জের বায়তুল আমানে আওয়ামী লীগের প্রথম মিটিং হয়, চিন্তা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন তখন থেকে তার বিরুদ্ধে খন্দকার মোশতাকরা ষড়যন্ত্র করেছিল। আমার দাদা খান সাহেব ওসমান আলী তখন ধমক দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম ধরে বলেছিলেন, ও-ই হবে সেক্রেটারি। ওইটার বিরুদ্ধে আর কেউ সাহস পাননি কথা বলার জন্য। তখন জেলে থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধু সেক্রেটারি হন।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসের নারায়ণগঞ্জের মাটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সাইনবোর্ড এলাকায় একটি সাইনবোর্ড লাগানো হলো- রাজাকার ও কুকুর প্রবেশ নিষেধ। পরে সংসদে একজনের সাথে আমার ঝগড়া হলো। আমি তার নাম বলবো না। সে আমাকে বলেছিলেন, তোকে আমি দেখে নেবো। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা হামলা করা হলো। ওই বোমা হামলায় আমার ২০ জন মানুষ টুকরা হয়ে গিয়েছিল। চন্দন-রতন পা হারালো। বলা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তা আইন পাস করার জন্য এই ঘটনা আমরা নিজেরাই ঘটিয়েছি।’
কিশোর-তরুণদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, ‘রাজনীতি কইরো না। রাজনীতি করার দরকার নাই। দেশটাকে ভালোবাসো। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের একার সম্পদ না, সে এখন বাংলাদেশের সম্পদ। ছোট ছোট বাচ্চাদের আগামীর ভবিষ্যত শেখ হাসিনা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপসচিব সাইফুল ইসলাম, অতিরিরক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু, বন্দর ইউএনও কুদরত-ই-খুদা, জেলা কালচারাল অফিসার রুনা লায়লা, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা প্রমুখ।