প্রেস বিজ্ঞপ্তি
গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও তারেক রহমান দেশের মানুষের জন্য এবং গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের জন্য বিদেশের মাটি থেকে যোগ্যতম নেতৃত্ব প্রদান করছেন। দেশের এবং জাতীয় স্বার্থে তিনি এই নেতৃত্ব প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর বলিষ্ট নেতৃত্বে অদ্যবধি কোন বিএনপি নেতাকর্মী দলত্যাগ করেনি। কঠিন সময় পার করলেও এবং খুন, গুম, হামলা, মামলা, জেল, জরিমানা সকল বাধা অতিক্রম করে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতীয়বাদী দলের আনুগত্য ধরে গেছে। আর এর মুল কারণ হচ্ছে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় মহানগর ও জেলা যুবদলের আয়োজনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।
মিনু বলেন, দেশ এখন চরম খারাপ সময় পার করছে। দেশ বর্তমানে চিড়িখানায় পরিণত হয়েছে। চিড়িয়াখানার পশু পাখিরা যেমন খাঁচার মধ্যে থেকে অসহায়ের মত দিনাদিপাত করে। তেমনি দেশের জনগণ এই অবৈধ সরকারের আমলে একইভাবে জীবন যাপন করছে। মানুষের কোন স্বাধীনতা নাই। সরকার সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে জনগণ বলতে নির্যাতনে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। তারা নারীদের গায়ে হাত দিতে দ্বিধাবোধ করেনা। মঙ্গলবার লবন নিয়ে তেলেসমাতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করে নিয়েছে এই সরকারের দোসররা। এভাবে সরকারের এমপি, মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা হাজার হাজার কোটি লুটপাট করে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেনা এই ডে-নাইট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোন দূর্নীতি না করলেও সম্পূর্ন রাজনৈতিক কারনে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রেখেছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হলেও সরকার বেগম জিয়াকে জামিন দিতে দিচ্ছেনা। অথচ তাঁর দলের খুনিদের ফাঁসির ফরমায়েশ হলেও সরকার সাধারণ ক্ষমা করে নির্দোষ খালাস করে দিচ্ছে। কিন্তু বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাস্তায় দেখলেই তুলে থানায় নিয়ে নির্মন নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানকে একইভাবে দেশের বাহিরে থাকতে এই সরকার বাধ্য করছে। সরকার জানে তারেক রহমান দেশে আসলে এবং বেগম জিয়া মুক্তি পেলে এক ঘন্টার জন্যও ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। জনগণ তাদের ক্ষমতাচ্যুৎ করবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর জন্য এবং দেশের গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার ও জনগণকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের কবল থেকে রক্ষা করতে আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। আগামী মাসের ৪ তারিখে বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে সেদিন থেকেই সরকার পতনের কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে। আর এই আন্দোলনে সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে শরীক হওয়ার আহবান জানান মিনু।
গতকাল বুধবার সকালে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন। সভা পরিচালনা করেন মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
এছাড়াও শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবলু, হাফিজুর রহমান আপেল, নাজির, হাশেম, বিপ্লব, আফরোজ, আশরাফুল, জুবায়ের হোসেন বাবু, জনি, মামুন, কামরুল, নাজির, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিপম ও সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন। জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামান শাহীন, সালোগীর হোসেন, মাসুদ রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, মোজাফ্ফর হোসন মুকুল, মহানগর মহিলা নেত্রী রীতা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রবি ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনিসহ বিএনপি, যুবদল ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।