আজ বৃহস্পতিবার, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা শঙ্কায় নারায়ণগঞ্জ বাসী!

রাজনৈতিক অস্থিরতা

রাজনৈতিক অস্থিরতানিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে এ নিয়ে শঙ্কায় সাধারন মানুষ। গত কয়েক দিনে নারায়ণগঞ্জে বেশ কযেকটি ঘটনা নিয়ে আবারো খবরের শিরোনামে প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ।

গত ৪ এপ্রিল বুধবার শহরে সুন্নী জনতার ব্যানারে একটি ইসলামি সংগঠন প্রেস ক্লাবের সামনে হেফাজতের আমীর মাওলানা আল্লামা শফি ও জেলা হেফাজতের আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। এর পরে দুই দিনই হেফাজত মাঠে নেমে হুকার দিচ্ছে।

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক রাজনীতির অন্যতম কান্ডারি কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের শ্রম কল্যান বিষয়ক উপ সম্পাদক কাউছার আহমেদ পলাশকে নিয়ে জাতীয় স্থানীয় পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে অশান্ত হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পলাশ বলছেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি তাই আমার বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করতে তাদের উৎসাহিত করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শান্ত নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করে রাজনৈতিক ফাঁয়দা হাসিলের চেষ্টা চলছে। আর এনিয়ে শঙ্কায় আছেন নারায়ণগঞ্জবাসী।

পলাশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে পলাশের সর্মথকরা ফতুল্লায় মিছিল সমাবেশ করেছে যা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে পলাশ দৈনিক যুগান্তর ও যুগান্তর অনলাইন, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ডান্ডিবার্তা ও দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকার মানহানি ও আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেছে। এরই মধ্যে দৈনিক যুগান্তরের ফতুল্লা প্রতিনিধি আল আমি প্রধান নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন।

এবিষয়ে কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, আমি এতোদিন যাবৎ রাজনীতি করি এ ধরণের সংবাদ কখনো প্রকাশিত হয় নি। হঠাৎ করে এমন সংবাদের আবিষ্কার হওয়ার কারণ গত নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি আওয়ামীলীগ হতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইবো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হঠাৎই সুন্নী জনতার ব্যানারে হেফাজতকে উসকে দেয়া এবং পলাশকে নিয়ে সংবাদ নারায়ণগঞ্জ বাসী সন্দেহের চোখে দেখছেন। কেউ হয়তো পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন। এরই মধ্যে সরাসরি কারো নাম না বললেও পলাশ বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের ইচ্ছা পোষন করাতেই তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আর এর পেছনে কারো হাত রয়েছে এমন ইঙ্গিত তার বক্তব্যের মধ্যেই রয়েছে। পলাশ বলেছেন এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়ায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে।

অন্যদিকে, শহরবাসীও পলাশের বিরুদ্ধে সংবাদ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কাউছার আহমেদ পলাশ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শ্রমিক রাজনীতির অন্যতম প্রভাবক। তার বিরুদ্ধে এর আগে এরকম কোন অভিযোগ শহরবাসী শুনেনি।
অন্যদিকে, পলাশের সর্মথকরা মিছিল ও সমাবেশে বলছেন, কাউছার আহমেদ পলাশ যখন এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছেন তখনই বিশেষ একটি মহল তার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। তিনি যদি নির্বাচনে প্রার্থী হতে না চাইতেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কেউ লাগতো না।

পলাশ বলছেন, আমি যখনই বলেছি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবো, আমার বাড়ির মধ্যে যখন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব আসলেন এটা নিয়েই অনেকের হিংসা শুরু হয়ে গেলো। এটা নিয়েও অনেকে লেখালেখি হচ্ছে। আমার ধারণা মূলত এ কারণেই এ চক্রটি এভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এক মিটিংয়ে ওবায়দুল কাদের পরবর্তীতে পলাশের বাড়িতে তাঁর আসা প্রসঙ্গে একজনের নাম উল্লেখ করে বলেছেন দাবি করে কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, আমার বাসায় মাননীয় মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসায় পরবর্তীতে তাকে একজন ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেছেন সাধারণ সম্পাদক কেন পলাশের বাড়িতে এসেছেন। এ বিষয়টি সাধারণ সম্পাদকের মাথাতেও রয়েছে।

মনোনয়ন চাওয়ায় বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমানের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, আমি মনোনয়ন চাওয়ায় যদি শামীম ভাইয়ের ইগোতে লাগে তাহলে আমার কিছু বলার নাই। কারণ আমরা যখন ছাত্রলীগ করতাম তখন উনি আমাদের সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। ওনার পেছনে থেকেও আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী, মিছিল, মিটিং করেছি।

অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার শহরে হেফাজতের তিন সংগঠন বিক্ষোভ মিছির ও সামবেশ করেছে। তাদের নেতা আল্লামা শফি ও আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি। আর ফতুল্লায় পলাশের সর্মথকরা মিছিল ও সমাবেশ করেছে পলাশের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করায়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ