সজিব খান: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ৮২ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পযন্ত রাজধানীর আগারগাওস্থ নির্বাচন ভবনে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রার্থীরা আবেদন করেন।
ইসিতে আবেদনকারীদের মধ্যে মূলত মনোনয়নপত্রে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকা, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নপত্র, লাভজনক পদে থাকা, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা, আয়কর রিটার্নি দাখিল না করা, ঋণখেলাপীসহ বেশ কয়েকটি কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আবেদনকারীরা হলেন, পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী গোলাম মাওলা রনি ও মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামাত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৪ থেকে হিরো আলম, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-১ থেকে আবদুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ থেকে মো. আখতারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আবদুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদহ-২ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট আবদুল মজিদ, ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমানসহ ৮২ জন আপিল করেছেন।
এ ছাড়া গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ইসিতে এসে খোঁজ-খবর নিয়ে গেছেন।
গত রোববার ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারা দেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আজ থেকে আপিল শুরু করেছেন। তারা আগামী বুধবার পর্যন্ত এই আবেদন করতে পারবেন। আর আগামী ৬, ৭, ৮ ডিসেম্বর আপিলের বিষয়ে নিষ্পত্তি করবে কমিশন। ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।