চুক্তি ভঙ্গ করে গ্রামীণফোনের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হওয়ায় টাইগারদের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে যে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছিল তা থেকে সরে এসেছে বোর্ড।
টেলিকম কোম্পানিটি সাকিবকে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, বোর্ডের সাথে খেলোয়াড়দের যে চুক্তি রয়েছে তা লঙ্ঘন করেছে সাকিব। বোর্ড তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। চুক্তিপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো খেলোয়াড় টেলিকম কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না।
তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিসিবি সাকিবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে না। তাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে।
সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা বোর্ড এবং খেলোয়াড়দের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা মনে করি আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। বরং আমরা একটি শোকজ নোটিশ পাঠাবো এবং সাকিবকে এর জবাব দিতে হবে।’
এর আগে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বোর্ডের সাথে খেলোয়াড়দের চুক্তি অনুযায়ী সাকিব কোনো টেলিকম কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে পারে না। সে এটা জানে। তা সত্ত্বেও সে গ্রামীণফোনের সাথে চুক্তি করেছে। তাকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
বিসিবি এবং সাকিবের সাথে শুধু এটা নিয়েই দ্বন্দ্ব চলছে তা নয়। বিসিবি সভাপতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে সাকিব ভারত সফরে যেতে আগ্রহী নয়।
এছাড়া সাকিব সম্প্রতি জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ না দিয়ে তার ভারত সফরের ব্যাপারে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছেন। তার অনুপস্থিতির কারণ জানাতে পারেনি বিসিবি।
সূত্র : ইউএনবি