বন্দর প্রতিনিধি:
বিছানায় প্রসাব করার জের ধরে প্রবাসী বড় সতিনের অবুঝ মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে (৫) হাত পা বেঁধে গোপন অঙ্গে খুনতি দিয়ে ছাঁকা দিয়ে আহত করেছে ছোট সতিন। গত ৩০ এপ্রিল সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, বন্দর থানার দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকার মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে রোমান মিয়া ৮ বছর পূর্বে নরসিংদী জেলায় শেফালী বেগমের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ে পর তাদের সংসারে ফাতেমা (৫) ও রাজ (৭) নামে ২টি সন্তান রয়েছে। সংসারের অভাব অনাটনের কারনে প্রথম স্ত্রী শেফালী বেগম ২ সন্তানকে স্বামীর কাছে রেখে সৌদিআরবে পাড়ি জমায় । বিদেশ যাওয়ার ১ বছরের মাথায় ওই সুযোগে স্বামী রোমান নেত্রকোনা জেলায় মুন্নী নামে এক মেয়েকে ২য় বিয়ে করে। বিয়ের পর ২য় স্ত্রী মুন্নী বেগমের সংসারে ২টি সন্তানের জন্ম হয়। ২ সংসারে ছেলে মেয়েদের লালন পালন নিয়ে বেশ বিপাকে পরে ২য় স্ত্রী মুন্নী বেগম। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩০ এপ্রিল সকালে ছোট সতিন মুন্নী বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে বড় সতিন প্রবাসী শেফালী বেগমের অবুঝ শিশু মেয়ে ফাতেমাকে (৫) হাত পা বেঁধে গরম খুনতি দিয়ে গোপন অঙ্গে ও বাম হাতে ছাঁকা দিয়ে জ্বলসে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী জানতে পেয়ে অভিযুক্ত ২য় স্ত্রী মুন্নী বেগমকে বিচারের দাবিতে অবরুদ্ধ করে রাখে।
সৎ মা কর্তৃক শিশু নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ পেয়ে শুক্রবার বিকেলে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল আলিমসহ সঙ্গীয় র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
অভিযুক্ত পাষন্ড ২য় স্ত্রী মুন্নী বেগমকে গ্রেপ্তার না হওয়ায় উক্ত এলাকায় সাধারন জনগনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।