সৈয়দ মোহাম্মদ রিফাত
কথা ছিলো শ্রমিকদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা করা হবে। তারা যেখানে কাজ করবেন সেখানে মিনিমাম স্পেস মেইনটেইন করা হবে। সর্বোপরি শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে কাজ করানোর অঙ্গীকার নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা হয়েছিলো শিল্প প্রতিষ্ঠান। গার্মেন্ট মালিকদের দাবি, তারা কারখানার ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। তবে সকালে কাজে যাওয়া এবং ছুটির সময় মিটিং-মিছিলের মতো করে যাওয়া আসা করছেন শ্রমিকরা।
গার্মেন্টস খুলে দেয়ার পরদিন থেকেই করোনার হপস্পট হিসেবে ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় দেখা গেছে ভয়াবহ দৃশ্য। সরেজমিনে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে একে অন্যের গায়ে পরে কাজে যোগ দেয় শ্রমিকরা। আবার ছুটির সময়ও রাজনৈতিক মিছিলের মতো করে বাড়ি ফেরেন তারা।
এদিকে জেলায় হাজার পেরিয়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। দিনকে দিন উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। তার মধ্য দিয়েই গত ২৮ এপ্রিল বিশেষ ব্যবস্থায় শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয় সরকার। খুলে দেয়ার আগে মালিকদের প্রতি সরকারের আহবান ছিলো শ্রমিকদের প্রতি খেয়াল রাখা। এ নিয়ে একাধিব বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, পোশাক শিল্প-কারখানা কীভাবে আমাদের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি পালন করবে। এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মূল ফোকাস ছিলো ফ্যাক্টরি চালাতে হলে সেখানে যেন মালিকরা কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলেন। পরিবহনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রমিকদের থাকার জায়গা, খাওয়ার জায়গা- এগুলোর বিষয়ে যেন মালিকরা গুরুত্ব দেয়। একই সঙ্গে তাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার তাগিদ দেয়া হয়। শ্রমিকরা আক্রান্ত হলে যাতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখেন, সেই ব্যবস্থা যেন করা হয়।