নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের স্বমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা দেশে শান্তি চায় না তারা স্থীর থাকতে পারে না। ২০০৬ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে টিভি ক্যামেরার সামনে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা। বর্তমান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গভবনে অক্সিজেন বন্ধ করে দেবার ঘোষনা দিয়েছিল। বার বার যারা দেশকে অস্থিতিশীল তৈরী করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তারাই আজ দেশের মানুষকে গণতন্ত্র শেখায়। আর যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে তাদের জেলে বন্দী করে, বিনা বিচারে মেরে ফেলা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৯ মে) শহরের গ্রান্ডহল রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের উদ্যোগে কারারুদ্ধ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সু-স্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা মাত্র ৩ বছরের মাথায় একদলীয় স্বৈরাচারের হাতে কুক্ষিগত হয়েছিল। এই একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রীক শাসনের ধারায় নিয়ে এসেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান। তিনিই এই দেশের প্রথম প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি। আবার তার মৃত্যুর পর আবারো একদলীয় ক্ষমতা দখল করে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। সেখান থেকে পুনরায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া সহ আরো অনেকে। আবার স্বৈরাচারের সাথে আপোষ করে ৮৬ সনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বর্তমান আওয়ামীলীগসহ আরো অনেক দল। বেগম খালেদা জিয়া অংশ না নিয়ে লড়াই করেছেন বলে জনগন তার নাম দিয়েছে আপোষহীন নেত্রী। এবং পুরষ্কার হিসেবে পেয়েছেন ৯১ এর বিজয়।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজ ভীষন অসুস্থ। তিনি এই বয়সেও কখনো নিজের অসুস্থতার কথা বলতেন না। সেই নেত্রী আজ হাঁটতে পারেন না। কিন্তু কদিন আগে তার সাথে দেখা করার সময় তিনি ভরাট গলায় বললেন, আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। পিঠে পায়ে প্রচ- ব্যাথা। অতিশীঘ্রই যদি তার উন্নত চিকিৎসা না দেয়া হয় তবে তার পঙ্গুত্ব ও চোখের দৃষ্টি হারাবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিচার বিভাগে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারনে তিনি জামিন পেয়েও শ্যোন এরেস্ট হচ্ছেন বার বার। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা করি।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সাম্যবাদী দলের প্রধান কমরেড সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রউফ, বিএনপির মহানগর সভাপতি আবুল কালাম, সহ- সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ টিপু, জনদল পার্টির সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
এছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলন বিএনপির জেলা সেক্রেটারি মামুন মাহমুদ, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাদির, ফরিদপুর সাম্যবাদী দলের সভাপতি কাজী মোস্তফা কামাল সহ কল্যান পার্টি, লেবার পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নেতাকর্মীরা। দোয়া মাহফিলে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমীর মাওলানা মাইনুদ্দিন।