আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেঘনা থেকে সাইনবোর্ড ৫২ কিলোতে ভয়াবহ যানজটে নাকাল যাত্রী সাধারণ

যানজটে নাকাল

যানজটে নাকাল

 

খালিদ আল আমিন:
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। যানজটের ধরিগতি এর অন্যতম কারণ হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি ও মেঘনা দুটি সেতুর টোল প্লাজায় অতিরিক্ত সময় নেয়া। এবং সেতুতে অতিরিক্ত ওজনবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণে স্কেল বসিয়ে টাকা আদায়ের কারণে মেঘনা থেকে কাচঁপুর মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে গতকাল ভোর রাত থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৫২ কিলো মিটার ভয়াবহ যানজট সৃস্টি হয়। এত যাতায়াতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘণ্টা।
সরেজমিনে, মেঘনা থেকে কাচঁপুর ঘুরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা থেকে কাচঁপুর পর্যন্ত যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারন মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার ওজন পরিমাপক যন্ত্র (স্কেল)। এর কাজ চলছে ধীরগতিতে। মেঘনা সেতুতে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএফ ওভারলোড গাড়ি নিয়ন্ত্রণে স্কেল সিস্টেম মেশিন দিয়ে অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক ও লংভেহিক্যাল গাড়িগুলো থামিয়ে চেক করা হচ্ছে। এতে সেতুর উভয় পাশে ১৫-২০ কিলোমিটর যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এই যানজটের কবলে আটকা পড়ে হাজারো যাত্রী ও মালবাহী গাড়ি। দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পাননা রোগীরাও। এই চিত্র দাউদকান্দি সেতু, মেঘনা সেতু, কাচঁপুর সেতু, মোগরাপাড়া, মদনপুর ও সাইনবোর্ড পয়েন্টে। এতে সেতু এলাকায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। যানজট সেতুর দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসহ মালবাহী যানবাহন চালকদের।
ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়িতে বসে থেকে যাত্রীদের ভয়াবহ ভোগান্তিতে পরতে হয়। অতিদ্রুত যানচলাচল ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্টদেও প্রতি দাবি জানিয়েছেন যাত্রী সাধারন। ট্রাফিক পুলিশের যান চলাচলে ভূমিকা বাড়ানো দরকার দাবী জানায় যাত্রী ও চালকরা।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার তদন্ত ওসি মো. রেজা বলেন, মহাসড়কে যান চলাচলে ইনকামিং-আউটগোয়িং চাপ প্রচুর। ওপার থেকে প্রয় ৫২ কিলো মিটার যানজট আছে। আমরা চেষ্ঠা করছি দ্রত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে। টোল প্লাজায় স্কেল এর কারনে কিছুটা প্রভাব পড়ছে ।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারীদের একটাই দাবী যানজটের দূর্ভোগ থেকে লাঘব করা। এজন্য টোল প্লাজার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনলে যানজট থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে মনে করেন ভুক্তভুগিরা।