আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মোড়ে মোড়ে নামাজের স্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেলা ২টা। রূপায়ন টাওয়ারের সামনে সড়ক ধরে একটু এগোতেই চোখে পড়ে এক ভিন্ন চিত্র। সড়কের ফুটপাতেই চাটাই বিছিয়ে নামাজ পড়ছেন কয়েকজন মুসুল্লী। অন্যদিকে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে নামাজিদের পাহারা দিচ্ছেন আরেকজন। এ যেন ভিন্ন এক রাষ্ট্রের চিত্র। শোনা যায় সৌদি আরবে নামাজের সময় হলে খোদ সড়কেই দাঁড়িয়ে যান সেই দেশের মুসুল্লিরা। এমন চিত্র নিজ দেশে দেখ বেশ অবাক হয়েছেন সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে গণমাধ্যম কর্মীরা।

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে আয়োজিত এই সমাবেশ শুরু হয় বেলা আড়াইটা থেকে। ধর্মীয় নেতাদের এই সম্মেলনকে ঘিরে প্রায় ৩ লাখ লোকের সমাগম হয় পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর জুড়ে। সমাবেশস্থল থেকে লোকসমাগম জামতলা থেকে চাষাঢ়া ও পঞ্চবটি সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আর সেই সমাবেশে আগত কর্মী সমর্থকরা এভাবেই পথের আশেপাশে চাটাই বিছিয়ে নামাজ আদায় করে নিচ্ছেন।

নামাজিদের একটু পাশেই দেখা ঢাকা ওয়াসার পানির গাড়ি। বসানো হয়েছে অস্থায়ী অজুখানা। যার যার মতো পথের ধারে অজু করে সেরে নিচ্ছেন যোহরের নামাজ। পাশদিয়ে চলে যাচ্ছে একের পর এক মিছিল ও পথচারীরা। নামাজিদের সুবিধার জন্য প্রতি মোড়ে মোড়েই রাখা হয়েছে চাটাইয়ের ব্যবস্থা। ফলে যেকোন ব্যক্তিই নিজ সুবিধাজনক স্থানে আদায় করে নিচ্ছেন নামাজ।

এনিয় সংবাদচর্চা প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় এক মুসুল্লির। তিনি বলেন ওজু করার স্থান পাশে হওয়ায় এখানেই নামাজ আদায় করে নিলাম। আমাদের বড় হুজুর (আহমদ শফী) উপস্থিত হলে পরে সেই সুযোগও পাওয়া যাবে না। তাই আগে আগেই নামাজ সেরে নেয়া। তবে নামাজ পড়তে গিয়ে দেখলাম পাশে বিশাল নারীর ছবি। প্রথমে অতটা লক্ষ না করলেও এখন দেখে বেশ বিব্রত লাগছে। তবে আল্লাহ আমার নিয়ত দেখেছেন। আশাকরি তিনি এই মুসাফির অবস্থাতেও আমার নামাজ কবুল করে নিবেন।

জানা যায়, শনিয়াব্র বেলা দেড়টা থেকেই আয়োজিত মহাসমাবেশে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ও থানা পর্যায় থেকে হেফাজতের কর্মী সমর্থকরা সমাবেশস্থলের দিকে আসতে থাকেন। বেলা ৩টা নাগাদ সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হন হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফী। এর পূর্বেই কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে যায় ঈদগাহ থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত পুরো সড়ক।

এসএএইচ/এসএএইচ