আজ সোমবার, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকলকে জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা


মাজহারুল ইসলামঃ আজ ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের ৪৬ তম বিজয় দিবস।১৯৭১-সালে রক্তক্ষয়ী দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর বর্বর পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য হয় আমাদের কাছে।আনুষ্ঠানিকভাবে ওরা পরাজয় স্বীকার করে নেয়,আমরা পাই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় বাংলাদেশ।বিজয়ের আনন্দে বাংলার আকাশ বাতাস মুখরিত হয়।

নিজস্ব মাতৃভূমি-রূপে লাল সবুজের পতাকায় মাথা উচু করে জয়ের মালায় আমরা খুজে পাই বিজয়ের সাধ বাংলাদেশ।কিন্তু এই বিজয় অর্জনের ইতিহাস শুধু আনন্দেরই নয়,পাশাপাশি ছিল শোকের,ছিল বেদনার।দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে লক্ষ লক্ষ বাঙালি,অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠিত হয়েছে,ধ্বংস হয়েছে বাংলার সম্পদ।পাক বাহিনী ও তাদের দোসর কর্তৃক হত্যাযজ্ঞ,লুন্ঠন ও সীমাহীন অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে বাংলার জনগণকে,ইজ্জত দিতে হয়েছে মা-বোনকে।ভীত সন্ত্রস্ত মানুষ প্রাণ ভয়ে,সম্ভ্রম রক্ষার্থে ছুটে বেড়িয়েছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হয় বাঙালি জাতী।

১৯৭১-এর ২৫ মার্চের রাত থেকে ডিসেম্বর ১৬ তারিখ পর্যন্ত নানারকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে মানুষ সময় অতিক্রম করেছে।সেসব অভিজ্ঞতা আজ স্মৃতি,কিন্তু মানষপটে সেইসব কি শুধুই স্মৃতি? না,শুধু স্মৃতিই নয়,স্বাধীনতার দলিল দস্তাবেজ হিসেবে আখ্যা দেয়া সমীচীন হবে সর্বার্থে।বিজয় দিবস আসে প্রতি বছর আসবে সারা জীবন।কালের বিবর্তনে বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে।বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ,তার ইতিহাস ও ঘটনার বিকৃতি ঘটাতেও অনেকে চেষ্টা করেছে,যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব, চেতনা,ঐতিহ্য সুরক্ষার জন্যই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের একটি বড় দায়িত্ব।এসব কারণে ১৯৭১-এর প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা জানতে চেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধা,স্বজনহারা জানিয়েছে তাদের আনন্দ তাদের বেদনার কথা।হৃদয় খুড়ে মূল্যবান,কষ্টকর স্মৃতিকে তুলে এনেছে স্বাধীনতার দলিল হিসেবে।মুক্তিযুদ্ধের দলিল দস্তাবেজ,যুদ্ধ সংক্রান্ত সংগ্রহ সংরক্ষণ ও পাশাপাশি নানারকম কার্য়ক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সকলকে জানাই অভিনন্দন।