আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রাক-প্রাথমিকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল!

মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল

মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল

 

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি:
মসজিদ ভিক্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধার জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। কার্যত ঐ স্থানে প্রাক-প্রাথমিকের কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। জাঙ্গীর এলাকার মলিনা বেগম প্রাক-প্রাথমিকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে জমি দখল ও অনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। গণশিক্ষা কার্যক্রমে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের লেখাপড়ার নিয়ম থাকলেও তিনি শিক্ষা না দিয়ে উল্টো মাসে মাসে বেতনের টাকা উত্তোলন করছেন। গত দুই বছরে তিনি এভাবে প্রায় এক লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। গণশিক্ষার কার্যক্রম না থাকায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় শিশু-কিশোরেরা। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে। এ ক্ষোভ যে কোন সময় সংঘাতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালে জাঙ্গীর এলাকার মলিনা বেগমের বাড়িতে গণশিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। কিছুদিন তার বাড়িতে কার্যক্রম চালালেও চতুর মলিনা গণশিক্ষার সাইনবোর্ড স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ গাজীর জমিতে সাঁটিয়ে দেন। গণশিক্ষা কার্যক্রমের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ঐ মুক্তিযোদ্ধার জমি জবর দখলে নিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মসজিদ ভিক্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমে একজন শিক্ষকের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি হওয়ার নিয়ম থাকলেও মলিনা বেগম প্রাইমারির চৌকাঠ মারাননি। শিশু-কিশোরদের সকালে লেখাপড়ার নিয়ম থাকলেও মলিনা বেগম শিশু-কিশোদের পাঠদান করান না বলে জানা গেছে। একজন গণশিক্ষা শিক্ষকের মাসিক বেতন ৪ হাজার টাকা। সে সুবাদে গত ২৪ মাসে এক লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। আর পাঠদান থেকে বঞ্চিত হয়েছে স্থানীয় শিশু-কিশোররা। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গেলে কিছু ছেলেমেয়ে হঠাৎ হাজির করে দেখানো হয়।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, মলিনা বেগম প্রাক-প্রাথমিকের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে শুধু জমি দখলই নয়। মাদক ব্যবসাসহ নানা অনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও সাধারণ ডাযেরী রয়েছে। তার বাড়িতে গণশিক্ষার কোন কার্যক্রম চলে না। তিনি মাসে মাসে বেতনের টাকা তুলে খেয়ে ফেলেন। কথা হয় স্থানীয় বাদল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ওখানে কোন ছেলেমেয়েদের পড়ানো হয় না। হঠাৎ কর্মকর্তারা আসলে ছেলেমেয়েদের হাজির করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের (বর্তমানে ভোলাবো ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত) কেয়ারটেকার আনিস মিয়া বলেন, আমরা পরিদর্শনে মাঝে মধ্যে ছেলেমেয়ে দেখতাম। আবার অনেক সময় কোন ছেলেমেয়ে পাওয়া যায় নাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনেছি মুক্তিযোদ্ধার জমিদখলের কথা। কতোটুকু সত্য তা আমার জানা নেই।