স্টাফ রিপোর্টার :
বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ভোটের মাঠের বর্তমান পরিস্থিতিতে লড়াইয়ে দুইজন প্রার্থী আলোচনায় উঠে এসেছে। তারা হলেন বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল এবং মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। আরো তিনজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্ধীতা করলেও মূল আলোচনায় রয়েছে এই দুই প্রার্থী। আলোচনায় থাকা এই দুই প্রার্থীর উত্তাপ এখন উত্তেজনায় রূপ নিয়েছে।
জানা গেছে, আতাউর রহমান মুকুল শুরু থেকেই অভিযোগ তুলে ছিলেন মুছাপুর ইউনিয়নে তার সমর্থকদের হুমকি দিয়ে চলেছে মাকসুদের লোকেরা। তবে সেই বিষয়টি খুব জোড়ালো ভাবে চোখে পড়েনি। তবে এই দুই প্রার্থীর মাঝে নীরবে উত্তাপ ছড়াচ্ছিলো। আতাউর রহমান মুকুল অন্যান্য ইউনিয়ন এলাকা গুলোতে পায়ে হেটে সাধারণ ভাবে গণসংযোগ করতে দেখা গেলেও। সম্প্রতি মুছাপুর ইউনিয়নে তিনি ব্যাপক শোডাউন দিয়ে গণসংযোগ করেছেন। ঈদের পূর্বে তিনি মুছাপুর ইউনিয়ন এলাকা ১৭টি হাইস গাড়ির বহর নিয়ে গণসংযোগ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে মাকসুদ হোসেন আসন্ন নির্বাচনে আতাউর রহমান মুকুলকেই নিজের জয়ের পথে বাধা হিসেবে মনে করছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে আতাউর রহমানের করখেলাপীর অভিযোগ এনে মনোনয়ন বাতিলের জন্য করা আবেদনেই যা অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে। তবে আতাউর রহমান মুকুলের সাথে মাকসুদ হোসেন রাজনৈতিক এই লড়াইটা লড়ছেন নির্বাচনী ড্যামী প্রার্থী তার ছেলে মাহমুদুর রহমান শুভকে দিয়ে। আতাউর রহমান মুকুলের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে শুভই সেই আবেদন করেছিলেন। তবে নির্বাচন কমিশনে আতাউর রহমান মুকুল তার পক্ষে সকল কাগজপত্র সঠিক ভাবে দাখিল করতে সক্ষম হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
এরপর থেকে এই দ্ইু প্রার্থীর উত্তাপ সমর্থকে মারধরের মধ্য দিয়ে উত্তেজনায় রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার মুছাপুর এলাকায় আতাউর রহমান মুকুলের পক্ষে গণসংযোগ কালে তার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে মাকসুদ হোসেনের সমর্থকরা। এ ঘটনায় আহত নাজির হোসেন বন্দও থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। এ ঘটায় সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যারা সবাই মাকসুদ হোসেনের কর্মী।